কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 3rd, July 2025 GMT
যশোরের ঝিকরগাছায় কুপিয়ে আহত করার পর পাল্টা হামলায় একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম (৫০) ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
তবে স্থানীয়দের দাবি করেন, তিনি মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া আগেও তিনি বিভিন্ন মানুষকে কারণে-অকারণে মারধর করে আহত করেন।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকালে সোনাকুড় গ্রামের আজগার আলীর বাড়ি থেকে তার জামাতা জহর আলী (৪০) মোটরসাইকেলযোগে বাঁকড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে শ্বশুরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রফিকুল ইসলামকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জহর আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুলের ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো শত্রুতা ছিল না। টাকা-পয়সারও কোনো লেনদেন নেই। কি কারণে আমার স্বামীকে কুপিয়েছে বুঝতে পারছি না।’ তিনি জানান, কিছুদিন আগে মাদকসেবী রফিকুল সোনাকুড় গ্রামের হিন্দুপাড়ায় একজনের ঘাড়ে কোপ দেন। তবে ঘাড়ে না লেগে তার একটি আঙুল কেটে যায়।
নিহত রফিকুল ইসলামের জামাতা বাপ্পারাজ বলেন, ‘জহর আলীর সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির কোনো বিরোধ ছিল না। লোকমুখে শুনলাম আমার শ্বশুর নাকি জহর আলীকে কুপিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটালে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।’
বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোনাকুড় থেকে রফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে দড়ি পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘নিহত রফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তিনি জহর আলী নামে এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ, জনতার চাপে ‘মাফ চেয়ে’ এলাকা ছাড়ালেন ‘এমপি প্রার্থী’
ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলায় মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রায়হান জামিল নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু বিতরণের জন্য যে পরিমাণ মাছ তিনি এনেছিলেন, তার থেকে লোকসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হয়। সবাইকে মাছ দিতে না পেরে জনতার বিক্ষোভের মুখে কোনোরকমে এলাকা ছাড়েন তিনি।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। তিনি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ৪ আসনের একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এরই অংশ হিসেবে ‘জনগণের মন জয় করার জন্য’ তিনি ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়হান জামিল ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ পরিচয় দিয়ে সপ্তাহখানেক আগে সদরপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটান। তাতে তিনি লেখেন, ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেবেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ইলিশ দেওয়ার কথা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকাল থেকে শত শত মানুষ জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। বিতরণ শুরুর একপর্যায় মাছ ফুরিয়ে যায়। তখন মাছ নিতে না পারা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে রায়হান জামিল পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
‘স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী’ পরিচয়ে ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ করতে যাওয়া রায়হান জামিল