বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোডাউন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( গোবিপ্রবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ৩টায় গোপালগঞ্জের স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইক শোডাউন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বহিরাগত এনে বাইক শোডাউন দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ বলেন, “ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগত ক্যাডার ভাড়া করে ছাত্র অধিকার পরিষদের বাইক শোডাউন হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমাদের ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগ-বিরোধী অনেক ছাত্রসংগঠনই সক্রিয় হয়েছে এবং নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রথম ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বহিরাগত ক্যাডার ভাড়া করে বাইক শোডাউন দিয়ে এক ঘৃণিত অধ্যায়ের সূচনা করল, যা এর আগে কখনো আমাদের চোখে পড়েনি।”

আরো পড়ুন:

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে ছাত্রশিবিরের ৫ দফা

বাস সংকট নিরসনের দাবিতে সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

তিনি আরো বলেন, “একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে এমন জঘন্যতম কাজের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ক্যাম্পাস প্রশাসনের জবাবদিহিতা কামনা করছি, তারা কিভাবে ক্যাম্পাসের ভেতরে এমন কাজ করতে দিল।”

বহিরাগত এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোডাউন দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ গোবিপ্রবি শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “এখানে বহিরাগত বিষয়টা এ রকম না, আমাদের তোহা কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক। আজ গোপালগঞ্জ জেলার ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটির পরিচিতি সভা ছিল। সেখান থেকে তারা কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে তাকে সংবর্ধনা দিতে এসেছে।”

ক্যাম্পাসে বহিরাগ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “এ কথা বললে ভূল হবে। ক্যাম্পাসে তো বহিরাগত আসে। সেটা প্রসাশনও জানে এবং তারা সবাই ছাত্র; বেশিরভাগই গোপালগঞ্জ কলেজের।”

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ গ প লগঞ জ ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ