বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসিড নিক্ষেপ, দগ্ধ ৩
Published: 4th, July 2025 GMT
যশোরে এসিড নিক্ষেপে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের ওপর হামলা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- গদখালী গ্রামের জামাত হোসেনের স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৮), ছেলে ইয়ানূর (৮) ও মেয়ে রিপা খাতুন (২৬)।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় ডেঙ্গুতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৯৩
পাবনা মানসিক হাসপাতালের ৯ দালালের কারাদণ্ড
দগ্ধ রাহেলা বেগম জানান, মঠবাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের কাজের লোক জসিম রিপাকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। রিপা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জসিম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানলা দিয়ে রিপাকে লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় রিপা, ইয়ানূর ও তিনি দগ্ধ হন। পরিবারের সদস্য তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক পরে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জুবায়ের আহমেদ বলেন, “এসিডে শিশু পিয়ানুর রহমানের পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মা ও বোনের শরীরের আংশিক দগ্ধ হয়েছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, এসিড নিক্ষেপকারী জসিমকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা নথিভুক্ত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস ড ন ক ষ প র প রস ত ব পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫০
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– নজরুল ইসলাম, রায়হান কবীর, রহিম উদ্দিন, হাম্মদ মিয়া, ইসরাফিল, নুনু মিয়া, ফজলু মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া, নিজাম উদ্দিন, শামীম আহমদ মনা, শামসু মিয়া, সুলেয়মান মিয়া, জুয়েল আহমদ, আলতা মিয়া, রোমান মিয়া, জনি, রব্বান মিয়া প্রমুখ। আহতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৫৫), রায়হান কবীর, রহিম উদ্দিন (৩৮), হাম্মদ মিয়া (২৮) ও নিজাম উদ্দিনকে (৩৬) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মথুরাপুর জামে মসজিদের নতুন মোতাওয়াল্লি নিয়োগ, পুরাতন মোতাওয়াল্লিকে অব্যাহতি ও মসজিদের অর্থের হিসাব-নিকাশ নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মসজিদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে এর আগে কয়েক দফা গ্রাম্য পঞ্চায়েত বসে কোনো সুরাহা হয়নি। শুক্রবার আগের মোতাওয়াল্লি আলাল মিয়া অব্যাহতি চেয়ে হিসাব-নিকাশ দিতে চান। তখন গ্রামের নজরুল ইসলাম পক্ষ ও শামীম আহমদ মনা পক্ষের লোকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে শামীম আহমদের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের সময় মসজিদের মোতাওয়াল্লির পদত্যাগের বিষয়ে কথাকাটাকাটির সময় প্রতিপক্ষ শামীম আহমদ মনার লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে তাদের পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন।
হামলার অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে শামীম আহমদ মনা বলেন, মসজিদের মোতাওয়াল্লি ৩৬ হাজার টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি। তারা হিসাব চাইলে নজরুল ইসলাম পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি মসজিদ কমিটির সদস্য নন।
এ ব্যাপারে মোতাওয়াল্লি আলাল মিয়া বলেন, তিনি হিসাব-নিকাশ দিতে চাইলে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষ এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।