ফতুল্লায় শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 4th, July 2025 GMT
ফতুল্লায় ১৩ বছরের নাবালিকা শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের পলাতক আসামি আজিমকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। শুক্রবার (৪ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১১ এর অপারেশন অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকা থেকে আজিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। আজিম ফতুল্লার গেদ্দারবাজার এলাকার হোসেনের ছেলে।
গত ১৭ মে সকালে শিশু ভিকটিম তার বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশে রওনা দেয় এবং শ্মশানের গলি দিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার গেদ্দারবাজার তালতলা শ্মশান সংলগ্ন হাফিজুর রহমানের মেস বাসার সামনে গলির মধ্যে আসামি আজিম ভিকটিমকে ডাক দিয়ে বলে যে কথা আছে শুনে যাও বলে ভিকটিমের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় এবং ভিকটিম চলে যেতে চাইলে সেও যেতে থাকে।
শ্মশানের গলিতে মানুষ শূন্য হওয়ার সুযোগে আসামি ভিকটিমকে হাফিজুর রহমানের মেস বাড়ির শেষ মাথায় ১টি রুমে ধর্ষণ করে।
এদিকে ভিকটিমের মা তাকে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে সর্বশেষ ওই মেসবাড়িটি সন্দেহ হলে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ডাকা ডাকি করিতে থাকে এবং সর্বশেষ রুমের দরজাটি আটকানো দেখে সেখানে গিয়ে ভিকটিমের নাম ধরে ডাক দিলে ভিকটিম চিল্লান দিয়ে কান্না করে উঠে।
আসামি তাকে বাইরে থেকে আটকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। তিনি কান্না শুনতে পেয়ে দ্রুত দরজা খুলে দেন এবং ভিকটিম অসহায় অবস্থায় রুম হইতে বের হয়ে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ঠিকাদারকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমে শ্রমিক সরবরাহকারী এক ঠিকাদারকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-মো. রাশেদুল ইসলাম (৪২), মো. সালাহউদ্দিন (৪০) ও মো. কামরুদ্দিন (৩৭)। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে সীতাকুণ্ড থানা বিএনপির নেতাদের দাবি, তারা বিএনপির কেউ নয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে আকবরশাহ থানার সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএমের কারখানা থেকে চা খেতে বের হন ঠিকাদার পবিত্র চন্দ্র বর্মণ। আগে থেকে উৎপেতে থাকা আসামিরা তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে হালিশহর সাগরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আটকে রেখে তার কাছ থেকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস ব্যবহার করে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নেয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার তিনি থানায় এসে অভিযোগ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন পবিত্র চন্দ্র বর্মণ। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেছেন, আসামিরা তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বিএসআরএমে শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতে পারবেন না বলে হুমকি দেন। তিনি রাজি না হলে তাকে অপহরণ করে টাকা আদায় করা হয়।
জানতে চাইলে আকবরশাহ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি রিমান্ডের পরবর্তীতে শুনানির জন্য অপেক্ষমান রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’
সীতাকুণ্ড থানা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা হচ্ছে- এই নামে কাউকে আমি চিনি না। তারা বিএনপির কেউ নয়।’