নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল, সেমিতে পেল পিএসজিকে
Published: 6th, July 2025 GMT
নাটকীয় বললেও যেন কম বলা হয়! গতকাল রাতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেও রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। যোগ করা সময়ের বাকি মিনিটগুলোকে তখনো মনে হচ্ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু পরবর্তী ছয় মিনিটে যা ঘটল তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য!
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অর্থাৎ ৯২ মিনিটে এক গোল শোধ করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এরপর ৯৪ মিনিটে আবারও গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে রিয়াল। ৯৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দেয়ান হুইসেন। আর ৯৮ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল ব্যবধান ৩-২ করে ডর্টমুন্ড।
শেষ পর্যন্ত ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে রিয়াল ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেও এই ৬ মিনিটে যা ঘটল, তা ফুটবলপ্রেমীদের আরও অনেক দিন মনে থাকবে। কোয়ার্টার ফাইনালে পাওয়া দুর্দান্ত এই জয়ের পর সেমিফাইনালে পিএসজিকে পেল রিয়াল। আগামী বুধবার রাত একটায় মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
আরও পড়ুন৯ জন নিয়ে বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে পিএসজি ৮ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচটা যতটা জটিলভাবে শেষ হয়েছে, শুরুটা ছিল ততটাই সরল। রিয়ালের আধিপত্যেই শুরু হয়েছিল খেলা। ১০ মিনিটে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এবং ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম আবিষ্কার গনসালো গার্সিয়ার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এটি প্রতিযোগিতায় গার্সিয়ার চতুর্থ গোল। এরপর ২০ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন ফ্রান গার্সিয়া।
গোলের পর গনসালো গার্সিয়া.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল সময় র
এছাড়াও পড়ুন:
আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন শামীম
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দেন পেসার তানজিম সাকিব। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা, নিসাঙ্কা ফেরেন ৫ রানে।
এরপর ইনিংস গুছিয়ে নিতে থাকেন কুশল মেন্ডিস ও নিশান মাদুশকা। দুজন মিলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন, যার বেশিরভাগই আসে কুশলের ব্যাট থেকে। মাত্র ২০ বলে অর্ধশতক তুলে নেন কুশল। তাদের জুটিতে অষ্টম ওভারেই লঙ্কানদের স্কোর ছাড়ায় পঞ্চাশ। তবে ৯.৩ ওভারে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে ধোঁকা খেয়ে মাদুশকা ক্যাচ তুলে দেন হৃদয়ের হাতে। ২৫ বলে ১৭ রান করেন মাদুশকা, ইনিংসে ছিল ৩টি চার।
মাদুশকার বিদায়ের পরও থেমে থাকেননি কুশল মেন্ডিস। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের চাপে রাখেন। কিন্তু ১১.৫ ওভারে আবারও আঘাত হানেন তানভীর ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে এলবিডাব্লিউ হন কুশল। যদিও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি, বাংলাদেশের নেওয়া রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত বদলায়। কুশল আউট হন ৩১ বলে ৫৬ রান করে, ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ১ ছক্কা।
এরপর দ্রুত আরও একটি সাফল্য এনে দেন শামীম হোসেন। ইনিংসের ১৮.৪ ওভারে লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কাকে (১৭ বলে ৬ রান) আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে দেন তিনি। তানভীর ইসলামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন শামীম। এতে ৯৯ রানে শ্রীলঙ্কার পড়ে চতুর্থ উইকেট।
এর আগে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করে ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।