রাজশাহী আদালত চত্বরে এক নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) মোকাদ্দিম হোসেন শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা ঈদগাহ এলাকা থেকে র‌্যাব-৫ এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল প্রতারণার একটি মামলায়   তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব এ তথ্য জানিয়েছে।

র‌্যাব জানায়, বিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে মোহনপুর থানায় কাজি শাওনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মোহনপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

পাবনায় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

খাগড়াছড়িতে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

শাওনের বাড়ি মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোবারক হোসেন। তিনি মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজি। তার ছোট ভাই মোস্তফা হোসেন ভিক্টর একই উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের কাজি।

তাদের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে নানা কায়দায় প্রতারণার বহু অভিযোগ আছে। দুই ভাই প্রতারক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুয়া রেজিস্ট্রার বুকে বিয়ে নিবন্ধন করে দেন। ফলে তাদের কাছ থেকে নেওয়া কাবিননামা দিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না অনেকে।

গত ১৪ জুলাই দুপুরে রাজশাহী আদালত চত্বরে দুই ভাই এক নারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে শাওন ওই নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ওই নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। তখন অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যান। এ সময় সবার সামনে ওই নারীকে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন শাওন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ