সিরাজগঞ্জে ইকোনমিক জোনের ভেতরে তিনটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজির সময় কালা মানিক (৩৫) নামে এক চাঁদাবাজকে গণধোলাই দিয়ে ডিবি পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “সোমবার বিকেলে চাঁদাবাজীর সময় স্থানীয় জনতা মানিককে ধরে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। পরে তার কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।”

আটক মানিক ওরফে কালা মানিক সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের চর-বয়রা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
 
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন বলেন, “মানিক দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি ইকোনমিক জোন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। গতকাল স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “জনতার পিটুনিতে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর তাকে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, একটি মাদক ও একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”

ঢাকা/অদিত্য/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ