চাঁদাবাজির সময় পিস্তলসহ কালা মালিক গ্রেপ্তার
Published: 29th, July 2025 GMT
সিরাজগঞ্জে ইকোনমিক জোনের ভেতরে তিনটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজির সময় কালা মানিক (৩৫) নামে এক চাঁদাবাজকে গণধোলাই দিয়ে ডিবি পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “সোমবার বিকেলে চাঁদাবাজীর সময় স্থানীয় জনতা মানিককে ধরে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। পরে তার কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।”
আটক মানিক ওরফে কালা মানিক সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের চর-বয়রা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন বলেন, “মানিক দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি ইকোনমিক জোন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। গতকাল স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “জনতার পিটুনিতে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর তাকে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, একটি মাদক ও একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”
ঢাকা/অদিত্য/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।