নিজেকে বা জীবনকে ফিরে দেখার প্রবণতা মানুষের চিরন্তন। কেমন হতো, যদি ফেলে আসা মুহূর্তগুলো দেখা যেত ভিন্ন দৃষ্টিতে। এই অপূরণীয় আকাঙ্ক্ষা সম্ভব শুধু গল্প–সিনেমায়। সেটাই হয়েছে ‘উৎসব’ সিনেমায়। রুপালি পর্দায় সিনেমাটি দেখতে দেখতে কাহিনির নানা উপাদানের মাধ্যমে দর্শকেরা যেন চলে গেছেন নিজেদের রেখে আসা সময়ে। সিনেমার গল্পের সঙ্গে না মিললেও দর্শকেরা নিজের অজান্তেই চলে গেছেন নিজের সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনায়। প্রেক্ষাগৃহে ‘উৎসব’ সিনেমাটি দেখে এমন অনুভূতিগুলোই ভালো লাগা দিয়েছে দর্শকদের। রিভিউ, প্রতিবেদনগুলোতে এমনটাই জানিয়েছেন দর্শকেরা।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘উৎসব’ ৭ সপ্তাহ ধরে চলছে দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। দর্শকদের কাছে এখন পরিচিত নাম ‘উৎসব’। তানিম নূর পরিচালিত সিনেমাটির কথা পৌঁছে গেছে দেশের আনাচকানাচে, প্রবাসী বাংলাভাষীদের কাছে। দর্শকেরা তাই সিনেমাটি দেখার আগ্রহের কথা জানিয়ে আসছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘উৎসব’।
চরকি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ৬ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিট (৭ আগস্ট) থেকে সিনেমাটি চরকিতে দেখতে পারবেন দেশ–বিদেশের দর্শকরা। এখানেই শেষ নয়, আছে আরও চমক। ৬ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে (৭ আগস্ট) চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তান্ডব’ প্রেজেন্টেড বাই সেনসেশন কনডম।
‘উৎসব’ সিনেমার পোস্টার থেকে। প্রযোজনা সংস্থার ফেসবুক থেক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’