বিরাট কোহলি আর সূর্যকুমার যাদবের পর ভারতের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠলেন অভিষেক শর্মা। আজ প্রকাশিত আইসিসির সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিংয়ে এ স্বীকৃতি পেলেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

মাত্র এক বছর আগে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। এখন পর্যন্ত শুধুই টি-টোয়েন্টি খেলেছেন অভিষেক। ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফেব্রুয়ারিতে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন। অবশেষে সে পারফরম্যান্সই এনে দিল র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান।

আরও পড়ুন৫ বল করতে গিয়ে ওয়াইড দিলেন ১২টি, ওভার আর শেষ হলো না৩ ঘণ্টা আগে

টি-টোয়েন্টিতে গত বিশ্বকাপের পর থেকে শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। কিন্তু সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে না খেলায় এক ধাপ পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেছেন হেড। তাঁর জায়গাটা দখল করেছেন সেই আইপিএলের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সতীর্থ অভিষেকই।

এর আগে এই সংস্করণে ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন কেবল সূর্যকুমার যাদব ও বিরাট কোহলি। ২০১৪ থেকে ২০১৭—টানা কয়েক বছর শীর্ষস্থান ছিল কোহলির দখলে।
টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে আরও কিছু পরিবর্তন এসেছে। ছয় ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জশ ইংলিস, অবস্থান এখন নবম। বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ হাসান নেমে গেছেন পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ৪৩তম স্থানে, জাকের আলী ছয় ধাপ পিছিয়ে এখন ৫৯তম। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ক্যামেরন গ্রিন একলাফে ৬৪ ধাপ এগিয়ে পৌঁছেছেন ২৪ নম্বরে।

ভারতের হয়ে এ পর্যন্ত ১৭টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন অভিষেক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ