বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নালা। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় নালা অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন দেশে থেকে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নালা কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নালা একটি মানি ট্রান্সফার অ্যাপ, যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রবাসীরা অন্য দেশে অর্থ পাঠাতে পারেন। অ্যাপটি অন্যান্য মানি ট্রান্সফার অ্যাপের তুলনায় বেশি এক্সচেঞ্জ রেট দেওয়ায় প্রবাসীরা লাভবান হন। এ ছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে কোনো ট্রান্সফার ফি প্রয়োজন হয় না। সহজ ইন্টারফেস হওয়ায় ব্যবহারকারীরা দ্রুত তাঁদের পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারেন। প্রতিটি লেনদেন বৈধ ও সুরক্ষিত রাখতে নালা সব সময় নিজস্ব রেগুলেটরি লাইসেন্স মেনে চলে। তাই ব্যবহারকারীদের তথ্য এবং লেনদেন নিরাপদ থাকে। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা যেকোনো স্মার্টফোনে নালা অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।

নালার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বেঞ্জামিন ফার্নান্দেজ বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা এই মাস থেকে যাত্রা শুরু করেছি। এর জন্য আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। এশিয়ায় আমাদের প্রথম কয়েকটি বাজারের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে বাংলাদেশিদের অদম্য মনোভাব, পরিশ্রম আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তাৎক্ষণিক ও নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে নালা। বর্তমানে ২১টি দেশে নালা অ্যাপের কার্যক্রম চালু আছে, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি উল্লেখযোগ্য। ফলে দেশগুলো থেকে সহজেই প্রবাসীরা বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব স র য ক তর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ