জাতিসংঘ বছরে ১ হাজারের বেশি রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্তু এর বেশিরভাগই পাঠকের অভাবে অব্যবহৃত থাকে- এমন বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিজেই। সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ সংস্কারমূলক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য, যা জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক ভার ও অকার্যকর ব্যয় ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেছে। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রকাশিত সংষ্কারমূলক ওই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর জাতিসংঘে ২৭ হাজার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যাতে অংশ নেয় ২৪০টি সংস্থা ও কমিটি। এ সময়ে ১ হাজার ১০০টি রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার (১ আগস্ট) বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “প্রতিবছর তৈরি হওয়া বিপুল সংখ্যক রিপোর্ট ও সভার চাপে জাতিসংঘের কার্যক্রম কার্যত ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।”

আরো পড়ুন:

শুধু প্রলেপ দেওয়া পরিবর্তন নয়, নতুন করে গড়তে হবে দেশ 

জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিশেষ অনুষ্ঠান

তিনি বলেন, “গত বছর জাতিসংঘে ২৭ হাজার বৈঠক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ১০০টি। এই বিপুল পরিমাণ সভা ও প্রতিবেদন আমাদের সবাইকে এক প্রকার চূড়ান্ত ক্লান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”

গুতেরেস আরো বলেন, “এসব প্রতিবেদনের বেশিরভাগই খুব একটা পড়া হয় না। মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রতিবেদন ৫ হাজার ৫০০ বারের বেশি ডাউনলোড হয়। আবার প্রতি পাঁচটির একটির ডাউনলোড সংখ্যা এক হাজারের নিচে। আর ডাউনলোড মানেই যে কেউ তা পড়ছে, সেটাও নয়।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মতো শীর্ষ সংস্থাগুলো থেকে যে হাজার হাজার নির্দেশনা বা ‘ম্যান্ডেট’ আসে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবছর প্রচুর সভা ও প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়, যা সংস্থাটির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।

এছাড়া, জাতিসংঘ এ বছরও তীব্র অর্থসংকটে রয়েছে-গত সাত বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। সদস্য ১৯৩টি দেশের অনেকেই নিয়মিত ও সময়মতো চাঁদা দেয় না, যার ফলে বাজেট ঘাটতি হয় এবং কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

এ অবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রস্তাব হলো- সভা কমাতে হবে এবং প্রতিবেদনের সংখ্যা কমাতে হব, তবে যেগুলো তৈরি হবে, তা যেন সব ম্যান্ডেট পূরণে সক্ষম হয়।

 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত বছর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন

পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান,  অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়। 

তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”

নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ