ঢাকায় সাবেক কাউন্সিলরের বোনকে গুলি করে হত্যা
Published: 4th, August 2025 GMT
রাজধানীর দারুস সালাম থানার দক্ষিণ বিশিল এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম তাহমিনা রহমান রানু (৪২)। তিনি স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামের বোন। দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহমিনার এলাকায় একটি দোকান আছে। তিনি দোকানটি ভাড়া দিয়ে চলতেন। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একদল সন্ত্রাসী এসে তাহমিনার ভাই আমিনুলের খোঁজ করে। আমিনুলকে না পেয়ে তারা তাহমিনাকে গুলি করে চলে যায়।
দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত তাহমিনার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান এসআই দেবব্রত কুমার বিশ্বাস।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’