‘প্রিন্স’: শাকিবের পারিশ্রমিক ৩ কোটি টাকা?
Published: 25th, August 2025 GMT
ঢাকাই চলচ্চিত্র রাজ করছেন মেগাস্টার শাকিব খান। তাকে নিয়ে নাট্যনির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ নির্মাণ করছেন ‘প্রিন্স’ (ওয়ান্স আপন আ টাইম) সিনেমা। কয়েক দিন আগে সিনেমাটির ফার্স্টলুক পোস্টার মুক্তি পেয়েছে। তারপর থেকে সিনেমাটি নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চলছে।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উড়ছে—‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন শাকিব খান। এ নিয়ে শাকিব খান ও নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ নীরব থাকলে মুখ খুলেছেন সিনেমাটির প্রযোজক, ক্রিয়েটিভ ল্যান্ডের কর্ণধার শিরিন সুলতানা।
আরো পড়ুন:
আপনাকে গভীরভাবে অনুভব করি: শাকিব খান
আমি কোনো রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিনি: শাকিব
একটি গণমাধ্যমে শিরিন সুলতানা বলেন, “এটা তার প্রাপ্য। যেটা উনি ডিজার্ভ করেন সেটা তাকে অবশ্যই দিতে হবে। অবশ্যই আগের সিনেমাগুলোর চেয়ে তার রেমুনারেশন (পারিশ্রমিক) বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক।”
একটি ঘটনা বর্ণনা করে শিরিন সুলতান বলেন, “গত কয়েক বছরে শাকিব ভাইয়ের সবগুলো সিনেমা দেখেছি। প্রতিটি কাজে নতুনভাবে হাজির হয়েছেন তিনি। সিনেমাগুলো দেখে তার প্রতি একধরনের ধারণা ছিল। কিন্তু আমরা যখন তাকে ‘প্রিন্স’ সিনেমার গল্প শোনাই, তখন উনি টানা ৪৫ মিনিট মনোযোগ দিয়ে তা শুনেন। এতটাই মনোযোগী ছিলেন, মনে হলো—এই গল্প তার পুরোপুরি মুখস্ত। আসলে এত বছরের সাধনার জন্য আজ তার এই অবস্থান।”
এ আলাপচারিতায় নানা কথা বললেও শাকিবের ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করেননি প্রযোজক শিরিন সুলতানা।
‘প্রিন্স’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে আবু হায়াত মাহমুদের। এর আগে অসংখ্য টিভি নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। তাছাড়া ‘প্রিন্স’ সিনেমা দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।
এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস