ঢাকাই চলচ্চিত্র রাজ করছেন মেগাস্টার শাকিব খান। তাকে নিয়ে নাট্যনির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ নির্মাণ করছেন ‘প্রিন্স’ (ওয়ান্স আপন আ টাইম) সিনেমা। কয়েক দিন আগে সিনেমাটির ফার্স্টলুক পোস্টার মুক্তি পেয়েছে। তারপর থেকে সিনেমাটি নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চলছে। 

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উড়ছে—‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন শাকিব খান। এ নিয়ে শাকিব খান ও নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ নীরব থাকলে মুখ খুলেছেন সিনেমাটির প্রযোজক, ক্রিয়েটিভ ল্যান্ডের কর্ণধার শিরিন সুলতানা। 

আরো পড়ুন:

আপনাকে গভীরভাবে অনুভব করি: শাকিব খান

আমি কোনো রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিনি: শাকিব

একটি গণমাধ্যমে শিরিন সুলতানা বলেন, “এটা তার প্রাপ্য। যেটা উনি ডিজার্ভ করেন সেটা তাকে অবশ্যই দিতে হবে। অবশ্যই আগের সিনেমাগুলোর চেয়ে তার রেমুনারেশন (পারিশ্রমিক) বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক।” 

একটি ঘটনা বর্ণনা করে শিরিন সুলতান বলেন, “গত কয়েক বছরে শাকিব ভাইয়ের সবগুলো সিনেমা দেখেছি। প্রতিটি কাজে নতুনভাবে হাজির হয়েছেন তিনি। সিনেমাগুলো দেখে তার প্রতি একধরনের ধারণা ছিল। কিন্তু আমরা যখন তাকে ‘প্রিন্স’ সিনেমার গল্প শোনাই, তখন উনি টানা ৪৫ মিনিট মনোযোগ দিয়ে তা শুনেন। এতটাই মনোযোগী ছিলেন, মনে হলো—এই গল্প তার পুরোপুরি মুখস্ত। আসলে এত বছরের সাধনার জন্য আজ তার এই অবস্থান।” 

এ আলাপচারিতায় নানা কথা বললেও শাকিবের ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করেননি প্রযোজক শিরিন সুলতানা। 

‘প্রিন্স’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে আবু হায়াত মাহমুদের। এর আগে অসংখ্য টিভি নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। তাছাড়া ‘প্রিন্স’ সিনেমা দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ