চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে পৌনে ২ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুজন আটক
Published: 26th, August 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছয়ঘরিয়া গ্রামে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা ১ কেজি ১৬২ গ্রাম ওজনের আটটি স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব স্বর্ণের বাজারমূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা। এ সময় পাচারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আটক দুজন হলেন—চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল মমিন (৪৯) এবং একই গ্রামের মরহুম খোদা বক্সের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৭)।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার ও সহকারী পরিচালক হায়দার আলীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিবি জানায়, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পারেন যে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছয়ঘরিয়া গ্রাম ব্যবহার করে চোরাকারবারীরা ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে। গোপনে সংবাদটি জানার পর অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় বিজিবির একটি সশস্ত্র দল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সীমান্ত পিলার ৭৯ থেকে আনুমানিক ১ হাজার ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছয়ঘরিয়া গ্রামের রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টায় বিজিবির দলটি একটি মোটরসাইকেলযোগে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে। ওই সময় তাদের থামার সংকেত দিলে মোটরসাইকেল আরোহীরা মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হন। এর পর আব্দুল মমিনের কোমরে থাকা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পাচারকারীদের কাছ থেকে চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত একটি লাল রঙের বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল ও একটি বাটন ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পাচারকারীরা ওই স্বর্ণগুলো ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করছিল বলে স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন। আটক পাচারকারীদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র ব প চ রক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”
আরো পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।
ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।
বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।
তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ