চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছয়ঘরিয়া গ্রামে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা ১ কেজি ১৬২ গ্রাম ওজনের আটটি স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব স্বর্ণের বাজারমূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা। এ সময় পাচারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

আটক দুজন হলেন—চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল মমিন (৪৯) এবং একই গ্রামের মরহুম খোদা বক্সের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৭)। 

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার ও সহকারী পরিচালক হায়দার আলীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজিবি জানায়, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পারেন যে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছয়ঘরিয়া গ্রাম ব্যবহার করে চোরাকারবারীরা ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে। গোপনে সংবাদটি জানার পর অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় বিজিবির একটি সশস্ত্র দল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সীমান্ত পিলার ৭৯ থেকে আনুমানিক ১ হাজার ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছয়ঘরিয়া গ্রামের রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টায় বিজিবির দলটি একটি মোটরসাইকেলযোগে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে। ওই সময় তাদের থামার সংকেত দিলে মোটরসাইকেল আরোহীরা মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হন। এর পর আব্দুল মমিনের কোমরে থাকা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পাচারকারীদের কাছ থেকে চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত একটি লাল রঙের বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল ও একটি বাটন ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পাচারকারীরা ওই স্বর্ণগুলো ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করছিল বলে স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন। আটক পাচারকারীদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র ব প চ রক র

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ