২৪-এর বিজয়ীদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ: কাদের সিদ্দিকী
Published: 28th, August 2025 GMT
২৪-এর বিজয়ীদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) টাঙ্গাইলে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘‘চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় আমি স্বাধীনতার কাছাকাছি বলে মনে করি। সে বিজয়ের সফলতা সব সময় কামনা করি। কিন্তু সেই বিজয়ীদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভেবেছিলাম তাদের এ বিজয় হাজার বছর স্থায়ী হবে। কিন্তু এক বছরে তাদের বিজয় ধ্বংসের দিকে চলে যাবে সেটা আশা করিনি।’’
ডিবি হেফাজতে থাকা বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে ডক্টর কামাল হোসেন, আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না উপস্থিত ছিলেন। সে সময় কিছু মানুষ গিয়ে মব সৃষ্টি করে তাদের অনুষ্ঠান বানচাল করে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে কারো অনুষ্ঠান বানচাল করার সাংবিধানিক বা আইনানুগ সুযোগ নেই। তাদের এখনো ডিবি অফিসে আটকে রাখা হয়েছে।’’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ হতো না, তেমনি লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে আমরা রাজনীতিতে আসতাম না। তাদের আদৌ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি না জানি না।’’
ঢাকা/কাওসার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।