রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অনিয়মের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক
Published: 15th, September 2025 GMT
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এনফোর্সমেন্ট দল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট দলের প্রতিবেদনের বরাতে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, রামপাল অফিস (মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) ও ঢাকা অফিসে বর্তমানে মোট ৫২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি নিয়োজিত কর্মকর্তা রামপাল অফিসে ৩০ জন এবং ঢাকা অফিসে ৬ জন, অর্থাৎ মোট ৩৬ জন। নিয়ম অনুযায়ী একজন বিদেশি কর্মকর্তার বিপরীতে ২০ জন দেশি কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও এ নিয়ম মানা হয়নি। অথচ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ( বিপিডিবি) থেকে লিয়েনে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া সম্ভব ছিল।
এর আগে গত ২৭ জুন বেতনবৈষম্য, যন্ত্রপাতি লুটপাট, কর মওকুফে অনিয়ম ও কয়লা ক্রয়ে নয়ছয়সহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাগেরহাট কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট দল। জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.
২০১০ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপবিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনটিপিসি) মধ্যে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়। এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এনটিপিসির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)’ নামের একটি কোম্পানি গঠন করা হয়। ২০১৩ সালে পিডিবির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয় এই কোম্পানির। ওই বছরই জমি অধিগ্রহণ, ভরাট ও সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে নির্মাণকাজ চলার পর ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন