মুশফিকের সামনে ঐতিহাসিক মাইলফলক
Published: 18th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারে আসছে এক নতুন অধ্যায়। আগামী নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নামলেই দেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করবেন তিনি।
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ টেস্টে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা ও সর্বাধিক রান সংগ্রাহক মুশফিক। এখন পর্যন্ত ৯৮ টেস্টে তার সংগ্রহ ৬ হাজার ৩২৮ রান, গড় ৩৮.
আরো পড়ুন:
এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরবেন তামিম, থাকবেন মুশফিকুর-মাহমুদউল্লাহও
মুশফিকের বিদায়টা মাঠ থেকেই হবে: শাহরিয়ার নাফিস
আসন্ন সিরিজের সূচিও ঘোষণা হয়েছে। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এরপর ১৯ নভেম্বর ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ, যা মুশফিকের শততম টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করেছে।
প্রথমে দ্বিতীয় টেস্টের বদলে ওয়ানডে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা বদলে তারা দুটি টেস্ট খেলতেই রাজি হয়েছে। টেস্ট সিরিজের পর দুই দল মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ঢাকায় ২৭ ও ২৯ নভেম্বর প্রথম দুটি ম্যাচের পর ২ ডিসেম্বর হবে শেষ টি-টোয়েন্টি।
এর আগে অক্টোবরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আসবে বাংলাদেশে। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি–টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। সিরিজ শুরু হবে ১৮ অক্টোবর, শেষ হবে ১ নভেম্বর।
ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক খেলা নেই। সে সময়ে আয়োজন হতে পারে বিপিএল। এরপর ফেব্রুয়ারিতেই ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে বসবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’