এআই এজেন্ট উন্মুক্ত করল অ্যাডোবি
Published: 19th, September 2025 GMT
নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) এজেন্ট উন্মুক্ত করেছে অ্যাডোবি। অ্যাডোবি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট নামের এই এআই এজেন্ট মূলত একটি চ্যাটভিত্তিক ইন্টারফেস। এর মাধ্যমে সাধারণ ভাষায় বিভিন্ন এআই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। ফলে এআই এজেন্টটি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের গ্রাহক অভিজ্ঞতা জানার পাশাপাশি বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা ও উন্নত করতে পারেবে।
অ্যাডোবির এআই সেবা পরিচালিত হচ্ছে অ্যাডোবি এক্সপেরিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম (এইপি) এজেন্ট অর্কেস্ট্রেটরের মাধ্যমে। ফলে প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহার করে অ্যাডোবি ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই এজেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও নিজেদের প্রয়োজনে কাস্টমাইজ করা যাবে। বর্তমানে বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠান এক্সপেরিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করছে।
অ্যাডোবির তথ্যমতে, বর্তমানে এক্সপেরিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ইতিমধ্যেই নতুন অ্যাডোবি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করছে। নতুন এআই এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকের যোগাযোগ উন্নত করার পাশাপাশি ডিজিটাল উপস্থিতি কার্যকরভাবে শনাক্ত করতে পারে। জটিল এসব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হওয়ার ফলে প্রতিষ্ঠানের বিপণন ও পণ্য বিভাগের কর্মীরা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
এক্সপেরিমেন্টেশন এজেন্ট বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে নতুন ধারণা দিয়ে থাকে। ফলে অ্যাডোবির এআই এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রাহকের আচরণ সহজে জানা যায়। এআই এজেন্টটির মাধ্যমে চাইলে গ্রাহকের আচরণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি সমস্যাও শনাক্ত করা সম্ভব।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম ব যবহ র কর গ র হক ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।
এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।
এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।
সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।
পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’