Risingbd:
2025-11-01@08:20:18 GMT

কেউ কটুক্তি করলে কী করবেন?

Published: 1st, November 2025 GMT

কেউ কটুক্তি করলে কী করবেন?

জেনেভান দার্শনিক, লেখক ও সুরকার জ্যাঁ-জ্যাক রুশোর মতে ‘‘অপমান হলো তাদের ব্যবহৃত যুক্তি, যারা ভুল পথে আছে।’’ সুতরাং কেউ কটুক্তি করলে বা অপমানজনক কথা বললে ভাববেন না, সব দোষ আপনার। অপমানিত বোধ করলে প্রথমে শান্ত হোন, এরপর পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন এবং যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন। তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে পারেন।

শান্ত থাকুন ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন

আরো পড়ুন:

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

গিউলিয়া তোফানা: যার বানানো বিষ খেয়ে মরেছে ৬০০ পুরুষ

প্রথমেই নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। উত্তেজিত বা রাগান্বিত হয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার প্রতিক্রিয়া আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণে, অন্য কারো নয়।

ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না

যিনি কটূক্তি করছেন, সমস্যাটি মূলত তার। এটি তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন, আপনার নয়। তাই কথাগুলো ব্যক্তিগতভাবে না নেওয়ার চেষ্টা করুন।

দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন

এক মুহূর্তের জন্য ভাবুন যে ব্যক্তিটি কেন এমন আচরণ করছেন। তার উদ্দেশ্য কী? তিনি কি রাগের বশে বলছেন, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আপনাকে ছোট করতে চাইছেন? এটি আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে সাহায্য করবে。

পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না

তাৎক্ষণিকভাবে কড়া জবাব বা পাল্টা অপমান করা থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে, শান্তভাবে মন্তব্যকারীকে তার কথার পুনরাবৃত্তি করতে বলতে পারেন, যা তাকে নিজের কথার অযৌক্তিকতা বুঝতে সাহায্য করতে পারে। 

দীর্ঘমেয়াদী বা পরিস্থিতিভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে আরও বেশি কৌশলী হতে হবে। বার বার অপমানিত হওয়ার ঝুঁকি থাকলে এসব পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-

স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ করুন

যদি একই ব্যক্তি বারবার এমন আচরণ করেন, তবে তার সাথে স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ করুন। তাকে সরাসরি জানান যে তার এই ধরনের মন্তব্য বা আচরণ আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

উপেক্ষা করুন

কিছু ক্ষেত্রে অপমান বা কটূক্তি উপেক্ষা করা একটি শক্তিশালী জবাব হতে পারে। যদি মনে হয় যে ব্যক্তিটি মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্যই এমন করছে, তবে তাকে গুরুত্ব না দেওয়াই শ্রেয়।

প্রয়োজন হলে সম্পর্ক সীমিত করুন

যদি সম্ভব হয়, এমন নেতিবাচক মন্তব্যকারী ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ বা মেলামেশা সীমিত করুন। বিষাক্ত সম্পর্ক এড়িয়ে চলাই ভালো।

আইনি পদক্ষেপ (সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে)

যদি কটূক্তি বা অপমান অনলাইনে (যেমন: সামাজিক মাধ্যমে) করা হয় এবং তা সীমা অতিক্রম করে, তবে এটি সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করতে পারেন বা সাইবার ক্রাইম সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

অন্যের সাহায্য নিন
প্রয়োজনে বন্ধু, পরিবার বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। নিজের অনুভূতি চেপে না রেখে কারো সাথে কথা বললে মানসিক চাপ কমবে এবং সঠিক পরামর্শও পেতে পারেন। 

এক কথায় বলা যেতে পারে- নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে পরিস্থিতি সামাল দিন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদক ষ প ন পর স থ ত আপন র অপম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীর পোশাক নিয়ে কটূক্তি ও হেনস্তার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার তিন দিন পর হেনস্তাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার নাজিম উদ্দিন (৪৫) ওই বাসের কন্ডাক্টর ও চালকের সহকারী বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসে এক তরুণী তাঁর পোশাক নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করছেন। বাসে ওঠার পর সামনের আসনে বসা ওই ব্যক্তি তাঁর পোশাক নিয়ে অশোভন মন্তব্য করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তরুণী প্রতিবাদ জানাতে সামনে এগিয়ে যান এবং প্রশ্ন করেন, ‘আমার পোশাক নিয়ে আপনার সমস্যা কী?’ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ওই ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে তরুণীকে চড় মারেন। মুহূর্তেই তরুণী জুতা খুলে পাল্টা আঘাত করেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুজনই বাসের সামনের দিকে পড়ে যান। তরুণী নিজেকে সামলে নিয়ে আবারও প্রতিরোধ করেন।

ঘটনার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই তরুণীর সাহসী অবস্থানের প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ ঘটনাটিতে উভয় পক্ষের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

নাজিম উদ্দিনকে আটক করার সঙ্গে যুক্ত র‍্যাব-৪–এর মেজর আবরার ফয়সাল সাদী প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীকে কটূক্তি ও হেনস্তা করার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর হেনস্তকারী ব্যক্তিকে আটক করতে র‍্যাব-৪–এর একটি দল অভিযান শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যায় নাজিম উদ্দিনকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। পরে তাঁকে মোহাম্মদপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক প্রথম আলোকে বলেন, হেনস্তার শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে আজ শুক্রবার সকালে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাজিম উদ্দিন ধানমন্ডি ১৫ থকে মোহাম্মদপুরের বছিলায় চলাচলরত রমজান পরিবহনের কন্ডাক্টর। ভাড়া নিয়ে কথা–কাটাকাটির জের ধরে তাঁদের দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। ছাত্রীটি মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন।

আজ সন্ধ্যায় পাঠানো র‍্যাব-৪–এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রমজান পরিবহনের একটি বাস ধানমন্ডি ১৫ থেকে মোহাম্মদপুরের বছিলায় যাচ্ছিল। বাসটি বছিলার মেট্রো হাউজিংয়ের সামনে পৌঁছালে চালকের সহকারী মো. নিজাম উদ্দিন বাসটির যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীর দিকে তাকিয়ে তাঁর পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এতে ওই তরুণী প্রতিবাদ করায় নাজিম উদ্দিন তাঁর সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং তাঁকে চড় মারেন। একপর্যায়ে তরুণীও আত্মরক্ষার্থে নিজের পায়ের জুতা খুলে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিনকে আঘাত করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ‌্যে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান পছন্দ হয়নি স‌্যামির
  • মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার