ওজন কমাতে শরীরচর্চা করতেই হবে। তবে সে জন্য জিমে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। রোজকার জীবনে কিছু সাদামাটা পরিবর্তনই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। আর মাঠ, পার্ক, বাড়ির ছাদ, লন, বারান্দা কিংবা করিডরেও তো হতে পারে শরীরচর্চা। এমনকি ইচ্ছা থাকলে ঘরের ভেতরেও শরীরচর্চার আয়োজন করতে পারবেন। জিমের খরচ বাঁচিয়েও অনায়াসেই করতে পারেন ব্যায়াম।

কম খরচে ব্যায়ামের সরঞ্জাম

কিছু ব্যায়ামের জন্য আপনার একটি বিশেষ ম্যাট্রেসের প্রয়োজন হবে। এর দাম বেশি নয়। আর তা চলেও বহু দিন। ডাম্বেল আর রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ডও কিনতে পারবেন কম খরচে। দড়িলাফের মতো দারুণ কার্যকর একটি ব্যায়ামের জন্য যে দড়ি প্রয়োজন, সেটির দামও কম। বাড়ির গ্যারেজে কম খরচে বাস্কেটবলের রিং লাগিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া আপনি একটি সাইকেল কিনতে পারেন। সাইকেলের দাম তুলনামূলক বেশি হলেও এটিকে এককালীন বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করুন। একবার খরচ করে একখানা সাইকেল কিনে নিলে বহু বছর চালিয়ে ব্যায়াম করতে পারবেন।

পার্কে গিয়েও করতে পারেন শরীরচর্চা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গানের মিছিল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে গানের মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর ও হাইকোর্ট এলাকা হয়ে জিপিও নূর হোসেন চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শেষ হয়।

‘প্রতিবাদী গানের মিছিল’ শীর্ষক ব্যানারে এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, সংগীতশিল্পী ও সংগীত অনুরাগী নাগরিকেরা অংশ নেন। এ সময় ‘গঙ্গাবুড়ি গঙ্গাবুড়ি’, ‘আমরা সবাই রাজা’, ‘কারার ওই লৌহ কপাট’, ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’, ‘চল চল চল’সহ বিভিন্ন গান গেয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন, কোন বিশেষ গোষ্ঠীর চাপে অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জনগণের সামনে পরিষ্কার করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনারও দাবি জানান তাঁরা।
প্রতিবাদী গানের মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ও ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান। মিছিল শেষে কৃষ্ণকলি প্রথম আলোকে বলেন, দেশে জঙ্গি বিমান কেনা সম্ভব হয়, নানা কারণে হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়, অথচ সমাজকে অগ্রগামী করার উদ্যোগগুলো বাদ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষ্ণকলি বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজন। এগুলো মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। শিক্ষার শুরুতেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হতে না দেওয়া, সৃজনশীল–সৃষ্টিশীল মনোভাবকে ধ্বংস করার এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ