দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলকে নগদ
Published: 12th, January 2025 GMT
এক দিনে ২ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক পেরিয়েছে এমএফএস প্রতিষ্ঠান নগদ। গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন ছাড়ায় বলে গতকাল নগদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ওই দিন নগদের মাধ্যমে লেনদেন হয় ২ হাজার ৭০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে অধিকাংশ লেনদেন হয়েছে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, সরকারি ভাতা বিতরণ, মোবাইল রিচার্জ এবং পেমেন্ট খাতে।
এ বিষয়ে নগদে বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বলেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে নগদ আরও উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থের অধিকতর নিশ্চয়তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নতুন নতুন গ্রাহক নগদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রায় ছয় বছর আগে যাত্রা করা নগদের এখন নিবন্ধিত গ্রাহক সাড়ে ৯ কোটির বেশি। নগদই দেশের প্রথম মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান, যারা ইলেকট্রনিক গ্রাহক নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করে। অ্যাকাউন্ট খোলার সহজ এবং আধুনিক পদ্ধতি এবং উন্নত গ্রাহকসেবার কারণে তাদের গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নগদের আড়াই লাখ উদ্যোক্তা পয়েন্ট প্রতিদিন কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে