আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘‘সব ধরনের খুনের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমানের ভারতে বসেও ষড়যন্ত্র করছেন। অল্প দিনের মধ্যেই তাকে দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করানো হবে।’’ 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুর জেলার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব, দ্রুত নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। ১০ থেকে ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ দেবে। সেখান থেকে গুরুত্ব বিবেচনায় সংস্কার করা হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘অনেকে বলছেন, সংস্কার দরকার নেই। এটা সঠিক নয়  কারণ সংস্কার না হলে সেই হাসিনা মার্কা নির্বাচন আবারো হবে। তাহলে এত রক্ত বিফলে যাবে। তাই নির্বাচন কমিশন, পুলিশ বাহিনী, সংবিধান, জুডিশিয়ারি এসব সংস্কার করে নির্বাচন দিন।’’

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মাদারীপুর জেলা শাখার আমীর মোকলেসুর রহমানের সভাপতিত্ব ও জেলা সেক্রেটারি এনায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল ইসলাম আল-বারাদী, দলের ফরিদপুর অঞ্চলের সদস্য মাওলানা আবদুস সোবাহন খান, ফরিদপুর জেলা আমীর বদরউদ্দিন প্রমুখ। 

এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/বেলাল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা