জাকসু নির্বাচনের ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে যা বলছে ছাত্রসংগঠনগুলো
Published: 14th, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে নির্বাচনের সময় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), ছাত্র অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রোডম্যাপ অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন চান। তবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), ছাত্র ফ্রন্টসহ (মার্ক্সবাদী) কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠনতন্ত্রসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংস্কার এনে তারপর নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই জাকসুর দাবি জোরালো হয়। অভ্যুত্থানের পর জাকসুর দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ জাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সে হিসাবে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অচল জাকসু সচল হতে চলেছে।
জাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে খসড়া ভোটার তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। জাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুনজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ১ ফেব্রুয়ারি৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ভোটার নিয়ে সমালোচনা১১ জানুয়ারি জাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই দিন বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৬ (৪ +২) বছর অথবা স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ২ (১ +১) বছর অধ্যয়নরত আছেন, শুধু তাঁদের নাম জাকসুর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই জাকসুর সদস্য হতে পারেন। তবে সম্প্রতি উপাচার্য মো.
জাকসুর গঠনতন্ত্রের ১ ধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের সদস্য ও যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষাদান করে থাকে, সেসব ছাত্রই জাকসুর সদস্য হবেন। অন্যদিকে, ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, এই গঠনতন্ত্রে অনুল্লেখিত এমন কোনো বিষয়ের সম্মুখীন হলে, সে বিষয়ে সভাপতি (উপাচার্য) সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
জাকসুর নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এমফিল, পিএইচডি ও উইকেন্ডের শিক্ষার্থীদের হলে সংযুক্ত করা হলেও তাঁরা আবাসিক হলে থাকতে পারেন না। কিন্তু তাঁরা প্রত্যক্ষভাবে ক্লাস করেন, আবার হলের চাঁদাও দেন। এ বিষয়ে গঠনতন্ত্রে অস্পষ্টতা থাকায় উপাচার্য তাঁদের ভোটার তালিকায় রাখেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব রাশিদুল আলম বলেন, শুধু স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই নির্বাচনের বৈধ ভোটার। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যেসব বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে সেসব বিষয়ে উপাচার্য ক্ষমতাবলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন চায় ছাত্রদল ও বামপন্থীদের একাংশছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, তাঁরাও জাকসু নির্বাচন চান। তবে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের যাঁরা প্রশাসনের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের অপসারণ করতে হবে। একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আমলে ছাত্রদলের যাঁরা নির্যাতিত হয়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি, তাঁদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। এসব বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তাঁরা আগামী বৃহস্পতিবার উপাচার্য বরাবর দেবেন। বিষয়গুলো সংস্কার করেই তারপর নির্বাচন চায় ছাত্রদল।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদল সব সময় ছাত্র সংসদ কার্যকর রাখার পক্ষে। সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসন জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে একটি সাধারণ সভা করেছিল। ওই সভায় নির্বাচনের আগে অনেকগুলো সংস্কারের দাবি আসে। সেসব বিষয়ে সংস্কার করে নির্বাচনী তফসিল দিতে হবে। ছাত্রশিবিরকে নির্বাচনে চান না জানিয়ে ছাত্রদল আহ্বায়ক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ২২টি সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ওই তালিকায় জাকসুও ছিল। যেহেতু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাকসুর সিদ্ধান্ত জাকসুকেই (নির্বাচিতরা) নিতে হয়। তাই এই নির্বাচনে শিবির অংশগ্রহণ করুক, আমরা চাই না। জাকসু নির্বাচন হলে নির্বাচিত সদস্যরা শিবিরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে শিবিরের উপস্থিতি চাই না।’
আরও পড়ুনছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে হট্টগোল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা স্থগিত১৯ নভেম্বর ২০২৪একই কথা বলছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, জাকসুর যে গঠনতন্ত্র আছে, তার বেশ কিছু বিষয় সংস্কার করা জরুরি। সেসব বিষয় সংস্কার করে তারপর নির্বাচন দেওয়া হোক। বিশেষ করে পদাধিকারবলে উপাচার্যের জাকসুর সভাপতি হওয়ার যে নিয়ম, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এ ছাড়া ছাত্রশিবিরের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়েও তাঁদের আপত্তি আছে।
ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের (একাংশের) সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, ‘আমরা জাকসুর তফসিল ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড প্রোভিসি সোহেল আহমেদের অপসারণ চাই। জাকসুর গঠনতান্ত্রিক কিছু জটিলতা বিদ্যমান, যেহেতু জাকসুর গঠনতন্ত্রের বয়স পঁয়তাল্লিশ বছরেরও বেশি। সেই গঠনতন্ত্র এই বাস্তবতায় অনেকটুকুই অপ্রাসঙ্গিক। গঠনতন্ত্রের সংস্কার করে দ্রুতই জাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে আশা রাখছি আমরা।’
আগে জাকসু, পরে সংস্কার চায় বৈষম্যবিরোধী, শিবির, অধিকার পরিষদরোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন চায় বেশ কয়েকটি সংগঠন। ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারেরই অংশ, জাকসু হলে সংস্কারের পথ আরও সহজ হবে বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রশাসন জাকসু নিয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা সাধুবাদ জানাই। জাকসু আমাদের যৌক্তিক দাবি। জাকসু নির্বাচনকে কেউ বানচাল করতে চাইলে ছাত্র-জনতা তা রুখে দেবে। রূপরেখা অনুযায়ী সব দল-মত নির্বিশেষে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে ছাত্র প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে পারেন।’
ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মহিবুর রহমান বলেন, গত তিন দশক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে আমেজ তৈরি হয়েছে, তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে পথ দেখাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। কোনো টালবাহানায় যেন জাকসু নির্বাচনকে পিছিয়ে না দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা কামনা করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জাকসুর একটা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের পরের যে প্রেক্ষাপট, সবকিছু মিলিয়ে আমি মনে করি এটি অত্যন্ত জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর অনেকগুলো আইনগত দিক এবং কতগুলো জটিলতা থাকবে। সেটা সংশ্লিষ্টরা মিলে কীভাবে দূর করবে, সেটা চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনে করি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে এমফিল, পিএইচডি ও উইকেন্ড কোর্সের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন কি না, বিষয়টি নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। গঠনতন্ত্রের ১৯ ধারাবলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এই সুযোগটাও রাখা হয়েছে যদি কারও সদস্যসংক্রান্ত কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, তাহলে ১৪ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং গঠনতন্ত্রের স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলে, সে ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি প্রোগ্রামে ডিপ্লোমা, অনলাইন ও অফলাইনে আবেদন ফি ১০০০
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে (আইআইটি–জেইউ) ফল–২০২৫ সেশনে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (পিজিডিআইটি) প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে।
দরকারি তথ্যআবেদনের পদ্ধতি: অনলাইন ও অফলাইন
আবেদন ফি: এক হাজার টাকা
মোট ক্রেডিট ঘণ্টা: ৩৬ (৩০ ক্রেডিট তত্ত্ব + ৬ ক্রেডিট প্রকল্প)
//////মোট সময় ভর্তি পরীক্ষা তিন ত্রৈমাসিক, ১২ মাস।///////////
আরও পড়ুনমেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন৩০ অক্টোবর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতাযেকোনো স্নাতক ডিগ্রিতে ৪ স্কেলে কমপক্ষে ২.৫ সিজিপিএ অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির সমমানের ডিগ্রিধারী আবেদনকারীরা ভর্তির প্রক্রিয়ার জন্য যোগ্য।
কোর্সের বিস্তারিতশুক্রবার: পিজিডিআইটি (নিয়মিত) ও পিজিডিআইটি (সাইবার সিকিউরিটি)–এর প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের সব ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার: পিজিডিআইটি (সাইবার সিকিউরিটি)–এর তৃতীয় সেমিস্টার।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫কোর্সের বিস্তারিত১. ক্যাম্পাসের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহনের সুবিধা রয়েছে।
২. আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবে ল্যাবভিত্তিক ক্লাস করানো হবে।
৩. সর্বনিম্ন খরচে কম সময়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করা যাবে।
৪. জাবির পিএমআইটি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য পিজিডিআইটি স্নাতকদের জন্য কোটা আছে।
পরীক্ষার বিষয়১. আইসিটির মৌলিক বিষয় ২৫ নম্বরের
২. মৌলিক গণিত ২৫ নম্বরের
৩. ইংরেজি ১০ নম্বরের
৪. এমসিকিউ ১ ঘণ্টার, মোট ৬০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা ফি কমছে৩০ অক্টোবর ২০২৫ভর্তির দরকারি তারিখ১. আবেদনের শেষ তারিখ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫
২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ২১ নভেম্বর ২০২৫ বেলা তিনটায়, আইআইটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
৩. ফলাফল প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৪. ভর্তির সময়: ২৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
৫. ওরিয়েন্টেশন ও ক্লাস শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট
আরও পড়ুনজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৩ ডিসেম্বর২৯ অক্টোবর ২০২৫