দেশে পাহাড় কাটা কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, যার কাছে অভিযোগ যায়, তিনিও পাহাড় কাটেন। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড় ও টিলা কাটা মনিটরিংয়ে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে।

গতকাল বুধবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দেশের পাহাড়, টিলাসহ প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র প্রণয়ন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, সরকার থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের লোক পাহাড় কাটছে। এমনকি যার কাছে পাহাড় কাটার অভিযোগ দিতে হবে, তিনিও পাহাড় কাটেন। গত ২০ বছরে দেশের ১১টি জেলার পাহাড়ি এলাকার ৮০১টি স্থানে ১ হাজার ২৩৪ হেক্টর পাহাড় কাটা হয়েছে। পাহাড়ের সার্বিক চিত্র উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে শিগগিরই উপস্থাপন করা হবে। পাহাড় কাটা ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হবে।

পাহাড় কাটা মনিটরিংয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ কাজে উচ্চ রেজুলিউশনের ওয়ার্ল্ডভিউ-৩ স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। ডিজিটাল টেরেইন মডেল (ডিটিএম) দিয়ে এ এলাকার সীমানা নির্ধারণ আরও নির্ভুল করা হয়েছে। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের গুগল আর্থ স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ও ভূমির পরিবর্তন চিহ্নিত করা হচ্ছে। ভূমি ব্যবহারের টেকসই পরিকল্পনা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য সামগ্রিক মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। এতে বন, নদী ও জলাভূমির মতো সম্পদ সংরক্ষণ এবং কার্বন মজুত, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, পাহাড় কাটা এবং পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ হেক্টরে হিসাব করা হচ্ছে। সিএইচটি বোর্ড, আঞ্চলিক পরিষদ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে জিআইএস ও রিমোট সেন্সিং দলের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে যাচাই করা হবে। এ প্রকল্প বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সঠিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ