পাহাড় কাটা মনিটরিংয়ে আসছে আধুনিক প্রযুক্তি
Published: 16th, January 2025 GMT
দেশে পাহাড় কাটা কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, যার কাছে অভিযোগ যায়, তিনিও পাহাড় কাটেন। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড় ও টিলা কাটা মনিটরিংয়ে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল বুধবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দেশের পাহাড়, টিলাসহ প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র প্রণয়ন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, সরকার থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের লোক পাহাড় কাটছে। এমনকি যার কাছে পাহাড় কাটার অভিযোগ দিতে হবে, তিনিও পাহাড় কাটেন। গত ২০ বছরে দেশের ১১টি জেলার পাহাড়ি এলাকার ৮০১টি স্থানে ১ হাজার ২৩৪ হেক্টর পাহাড় কাটা হয়েছে। পাহাড়ের সার্বিক চিত্র উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে শিগগিরই উপস্থাপন করা হবে। পাহাড় কাটা ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হবে।
পাহাড় কাটা মনিটরিংয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ কাজে উচ্চ রেজুলিউশনের ওয়ার্ল্ডভিউ-৩ স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। ডিজিটাল টেরেইন মডেল (ডিটিএম) দিয়ে এ এলাকার সীমানা নির্ধারণ আরও নির্ভুল করা হয়েছে। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের গুগল আর্থ স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ও ভূমির পরিবর্তন চিহ্নিত করা হচ্ছে। ভূমি ব্যবহারের টেকসই পরিকল্পনা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য সামগ্রিক মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। এতে বন, নদী ও জলাভূমির মতো সম্পদ সংরক্ষণ এবং কার্বন মজুত, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পাহাড় কাটা এবং পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ হেক্টরে হিসাব করা হচ্ছে। সিএইচটি বোর্ড, আঞ্চলিক পরিষদ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে জিআইএস ও রিমোট সেন্সিং দলের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে যাচাই করা হবে। এ প্রকল্প বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সঠিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ
অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।