জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী হুসনি মুবারকের ওপর বহিরাগতের হামলার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় এ বিক্ষোভ মিছিল করেন জাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানেই সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও ইতিহাস বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া জিসান বলেন, “আমরা মনে করি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের টাকায় চলে। এখানে দেশের সব মানুষ আসবে, এটা আমরা প্রত্যাশা করছি। আমরা তাদের কোন বাধাও দিচ্ছি না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় কোন পার্ক না।”

তিনি বলেন, “বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে পার্ক মনে করে ব্যবহার করে, এটা অনেক লজ্জার। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা জাবিকে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “আমরা হুসনি মুবারকের ওপর হওয়া এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীর উগ্রতা ও কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দূর্বল প্রতিয়মান করে। আমরা ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে পরবর্তীতে কেউ এমন সাহস করতে না পারে।”

গত ১৫ জানুয়ারি ফিল্ডওয়ার্কের সময় হুসনে মুবারক ও তার সহপাঠীরা দুইজন বহিরাগতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে সহকারী প্রক্টরকে জানান। এরই জেরে বহিরাগত শিক্ষার্থী ছিবগাতুল্লাহ আল ছামি তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো। আইএমএফের প্রভাবে বাজেটে স্থানীয় শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি হ্রাস পেয়েছে। ট্রাম্প সাহেবকে খুশি করার চেষ্টা ছিলো এই বাজেটে। 

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাজেটে আয়ের জন্য ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু মার্কিন কোম্পানির কাছে আমাদের যে ক্ষতিপূরণ তা আদায় করতে হবে। মাগুরছড়া ও টেংরাটিলায় গ্যাস বিস্ফোরণে সম্পদ ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংসে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোন সরকারই চেষ্টা করেনি। এই ক্ষতিপূরণ আদায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ডিপি ওয়ার্লডের কাছে ছেড়ে দেওয়া তো শেখ হাসিনার প্রকল্প ছিল। ড. ইউনুস কেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছেন? 

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের বাজেটে সেই পরিবর্তনের সূচনা ঘটানোর কথা নেই। সম্পদ সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের কাছ থেকে গিয়ে কিছু মানুষের কাছে পুঞ্জীভূত হয়। এবারের বাজেটেও সেই প্রবণতা দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে প্রতারণা ও অস্বচ্ছতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটা অব্যাহত থাকুক আমরা চাই না। আগামী ২২ জুন বাজেট অনুমোদনের আগে এর ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। বাজেটে জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির ন্যূনতম উদ্যোগ নিতে হবে।

সভায় আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ার ড. গোলাম রসুল বলেন, সত্যিকার অর্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এই বাজেটে তেমন কিছু নেই। কৃষিক্ষেত্রে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। কৃষিকে আমরা নানাভাবে আন্ডার ভ্যালু করে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যখাতে এবার জনপ্রতি বাজেট বেড়েছে ২২ টাকা।

ট্রাম্পের পালটা শুল্ক বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার বুঝেও না বুঝার ভান করছে। এটা আমাদের বিশাল বিপদে ফেলবে। 
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহা মির্জা,  চিকিৎসক ডা. হারুণ অর রশীদ, লেখক-গবেষক প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা ও মাহতাব উদ্দীন আহমেদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ আসামিকে বাদ দিতে হলফনামা, বাদী কৃষক দল নেতাকে শোকজ
  • এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ