হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি-জিম্মি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের পর গাজায় যুদ্ধে ফিরে না আসলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল পদত্যাগের হুমকি দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েলি জোট সরকারের পতন হতে পারে। বৃহস্পতিবার সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে চুক্তি ঘোষণা করেছেন তাতে বলা হয়েছে, ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস এবং ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য ভোটাভুটি বিলম্বিত করেছে। এর কারণ হিসেবে ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস শেষ মুহূর্তে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। তবে হামাস অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের অতিডানপন্থী দল জায়নিস্ট পার্টি শর্ত দিয়েছে যে সরকারে থাকার জন্য ইসরায়েলকে ‘হামাসকে ধ্বংস করতে এবং সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে যুদ্ধে ফিরে যেতে হবে এবং তা চুক্তির প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তির পরপরই।’

যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুর কাছ থেকে লিখিত গ্যারান্টি চাওয়া হয়েছে কিনা তা দলটি জানায়নি।

সরকারের জোটের অতিডানপন্থী  আরেক সদস্য ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরও পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন এবং স্মোট্রিচকে তার সাথে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

অবশ্য জোটে থাকা দুই দুলের পৃথকভাবে পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত আইনপ্রণেতা নেই যে তারা একা সরকার ভেঙে দিতে পারবে। তবে উভয় মন্ত্রীর একসাথে আইনসভায় ১৪টি আসন রয়েছে, যা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসর য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শত্রুতার জেরে সাত গরুকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ, মারা গেছে ৩টি

গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরো চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে দুই কৃষক পরিবারের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কীভাবে গরুগুলো মারা গেছে তা খতিয়ে দেখতে নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

আরো পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

গাইবান্ধায় ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের 

এলাকাসাসী জানান, সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামের দুই ভাই মো. রাসুল গাজী ও হাসিব গাজী কৃষি কাজ করে সংসার চালান। তারা খামার করে কয়েকটি গরু লালন-পালন করছেন। শনিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে গরুর গোঙানির শব্দ শুনে পাশের বাড়ির এক আত্মীয় ছুটে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন দুই ভাইকে। তারা স্থানীয় পশু চিকিৎসককে খবর দেন। সকাল হওয়ার আগেই তিনটি গরু মারা যায়। একই গোয়াল ঘরে থাকা একটি বড় ষাঁড়, একটি বাছুর ও অপর গোয়ালে থাকা দুটি ষাঁড় এখনো অসুস্থ। 

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো. রাসুল গাজী জানান, শত্রুতা করেই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাদের গরুগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। রাতেই টের পেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও বাঁচানো যায়নি গরুগুলো। দুই ভাইয়ের আরো চারটি গরু অসুস্থ রয়েছে। এতে তাদের অন্তত ৫-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

তিনি জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

কারা তাদের গরু হত্যা করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসুল গাজী বলেন, “ঘর থেকে বের হয়ে কয়েকজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছি। তাদের চেহারা দেখতে পারিনি। ফলে কাউকে চিনতে পারিনি।” 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাসিব গাজী বলেন, ‍“কারো সঙ্গে আমাদের শত্রুতা থাকতেই পারে। এই অবলা পশুগুলো কার কী ক্ষতি করেছে। কোন অপরাধে এদের হত্যা করা হলো। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

এলাকাবাসী মো. ইমদাদ শেখ বলেন, “গত শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়। এই সুযোগে গরুগুলোকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সর্দার বলেন, “সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে কয়েকটি গরুকে বিষ খাওয়ানো হয় এমন খবর পেয়ে সকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। তিনি অসুস্থ গরুগুলোকে চিকিৎসা দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পয়জনজনিত কারণেই গরুগুলো মারা গেছে। মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই গরু তিনটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করি। মারা যাওয়া গোরুগুলোর নমুনা সংগ্রহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ