দেবরের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ভাবির
Published: 17th, January 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পূর্বের শত্রুতার জেরে বড় ভাবি কারিমা বেগমকে (৪২) ছুরিকাঘাতে খুন করলো আপন দেবর।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী পাত্রখোলা চা বাগানের পূর্বপাড়া দুই নাম্বার এলাকার মর্তু মিয়ার স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের বাজার লাইনে এলাকায় পান দোকানে গিয়ে পান দোকানি ভাবি কারিমা বেগমকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। এ সময় বাজারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ঘাতক মঞ্জুর মিয়া পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কনক কান্তি সিনহা বলেন, “ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া নারী হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই মারা গেছেন।”
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছুরিকাঘাত করে ঘাতক মঞ্জুর মিয়া পালিয়ে গেছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ঢাকা/মৌলভীবাজার/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক