লালমনিরহাটে আজহারীর মাহফিলের আগের দিনই মানুষের ঢল
Published: 17th, January 2025 GMT
মিজানুর রহমান আজহারীর কুরআন মাহফিল উপলক্ষে লালমনিরহাটের মানুষের মাঝে যেন ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। আগামীকাল জেলার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী মাঠে দেশের জনপ্রিয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী উপস্থিত থেকে তাফসির পেশ করবেন। তবে তার আগের দিন থেকেই জনতার ঢল নেমেছে সমাবেশস্থলে।
মাহফিলের একদিন আগে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই প্যান্ডেলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। রাত নাগাদ আরও বাড়ে জনতার জোয়ার।
আগামীকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের আয়োজনে আয়োজিত মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন এই সময়ের দেশের জনপ্রিয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। শুক্রবার থেকেই হাজার হাজার মুসুল্লি মাহফিল মাঠে সমবেত হচ্ছেন।
শুক্রবার মিজানুর রহমান আজহারী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘রংপুর বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ আগামীকাল শনিবার থাকছি লালমনিরহাটের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।”
মাহফিলে কমপক্ষে ১০ লাখের অধিক মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছেন মাহফিল আয়োজকরা। লাখ লাখ লোকের সমাগমের কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনভোগান্তি এড়াতে ও মাহফিলে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন।
সরেজমিনে লালমনিরহাটের সোহরাওয়ার্দী মাঠে গেলে দেখা যায়, মুসুল্লিরা বেডিং পত্র নিয়ে মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীর শোনার জন্য একদিন আগেই মাঠে এসে জমায়েত হচ্ছেন। স্টেজের সামনে জায়গা পেতে এবং সামনে থেকে তাফসীর শোনার জন্য মুসুল্লিরা বিছানা পেতে জায়গা দখল করছেন।
জামায়াতে ইসলামীর লালমনিরহাট জেলা আমির ফিরোজ হায়দার লাভলু জানান, মাহফিলে ১০ লক্ষেরও অধিক মুসুল্লির সমাগম হবে ইনশা আল্লাহ। বিশৃঙ্খলা এবং জনভোগান্তি এড়াতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরাও গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করছেন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক থাকলে আগামীকাল শনিবার লালমনিরহাটে ইতিহাস সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/আমিরুল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ