জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসাইন নারীঘটিত কারণে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। 

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, জোবায়েদ হত্যার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। শিগগির তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। প্রাথমিকভাবে আমরা এতটুকুই জানতে পেরেছি যে, নারীঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার্জিস শাবনাম বর্ষা নামের এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদেরকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ষা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বর্ষাকে প্রাইভেট পড়াতেন জোবায়েদ।

এদিকে, নিহত জোবায়েদের বড় ভাই বাদী হয়ে বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মাহির রহমান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। সিসিটিভি ফুটেজে দুজন যুবককে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।

অন্যদিকে, জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে তার বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন জোবায়েদ।

ঢাকা/এমআর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ক ণ ড

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল রাইফেল ও গুলি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল আজিজের বাড়ি থেকে একটি রাইফেল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। তবে অভিযানের সময় বিএনপি নেতা আজিজ বাড়িতে ছিলেন না।

অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আবদুর রহিম বাদী হয়ে আজ দুপুরে রায়পুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় আমিনুল আজিজকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাদশার গ্রামের বাড়ি চর কাছিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় তাঁর ঘর থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়। আজিজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দক্ষিণ চরবংশী এলাকাটি মেঘনা নদীঘেঁষা প্রত্যন্ত চরাঞ্চল হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ভূমি দখল ও নদী থেকে বালু তোলা নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। আমিনুল আজিজের বিরুদ্ধেও চরের কয়েক শ একর জমি জবরদখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে।

যৌথ বাহিনীর অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমিনুল আজিজ বলেন, একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসাতে ঘরে অস্ত্র রেখেছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ