মানিকগঞ্জে মাটি ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতৃবৃন্দের হামলার শিকার হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির চার জন কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন- আটিগ্রাম ইউনিয়ন কৃষি জমি ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী জয়-ই মামুন (৪০), ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও কৃষক দলের সভাপতি প্রার্থী রুস্তম সরকার (৪২), ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম (২২)। আরো একজন বিএনপি কর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন দেওয়ান বলেন, “আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী কিছু লোকদের নিয়ে বিএনপির গুটিকয়েক নেতা এ হামলা ঘটিয়েছে। আটিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম সরকার তার ভাটায় অবৈধ মাটি আনা নেওয়ার জন্য বিএনপির কিছু নেতাকে অর্থের লোভ দেখিয়ে তার সাথে রেখে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করি।” 

সদর থানার ভাতা কর্মকর্তা (ওসি) এস.

এম আমানুল্লাহ বলেন, “এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপুর বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/চন্দন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ইউন য ন ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ