আমার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার, মাল্টিপ্ল্যানের হামলায় জড়িত নয়: ইমনের মা
Published: 18th, January 2025 GMT
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) সামনে ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় সানজিদুল হাসান ইমন জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তার মা ডা. সুলাতানা জাহান।
শনিবার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। তিনি বলেন, ইমনকে নিয়ে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি রাতে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের দুই কম্পিউটার ব্যবসায়ী নেতার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরমধ্যে কম্পিউটার ব্যবসায়ী এহতেসামুল হককে প্রকাশ্য কোপানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইমনের মা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সাবেক প্রধান ডা.
হামলার ঘটনায় ইমনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে নিউমার্কেট থানায়। এর প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার মা ডা. সুলতানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিদেশে অবস্থান করা আমার ছেলে ইমনকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় ইমন আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের রোষানলে পড়ে একাধিক মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হন। বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাবন্দি ছিলেন। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ও বিচারিক আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আদালত ইমনকে জামিনে মুক্তি দেন। এরপর তিনি বিদেশ চলে যান। এরপরও তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে ওই হামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানান তিনি।
ইমনের মায়ের প্রশ্ন- তার ছেলে যদি কারো কাছে চাঁদা দাবি করে থাকেন, তাহলে সেই তথ্য কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয় না। তিনি অভিযোগ করেন, এই মামলার বাদী ওয়াহিদুল হাসান দিপু শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের আপন বড় ভাই। ৫ আগস্টের পর বছিলায় খুনের ঘটনায় হেলাল আসামি। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের সাবেক ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার বিএনপি নেতা রাজু হত্যার ২ নম্বর আসামি ওয়াহিদুল।
ডা. সুলতানার অভিযোগ, এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচনে শুধু একটা ফরম বিক্রি হয়েছে, অন্য কাউকে ফরম কিনতে দেয়নি এই পিচ্চি হেলাল। হেলাল সবাইকে হুমকি দিয়ে সভাপতি পদের ফরম কেনা থেকে বিরত রাখায় তার ভাই ওয়াহিদুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে বিজয়ী হন।
এ বিষয়ে ওয়াহিদুল হাসান দিপু সমকালকে বলেন, আমি ব্যবসা করে খাই। রাজু হত্যায় কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না। আমাকে হয়রানি করার জন্য জড়ানো হয়েছিল। অবশ্য ওই মামলা থেকে খালাস পেয়েছি।
তিনি বলেন, নিয়ম মেনেই এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচন হয়েছে। এর আগেও আমি নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। তবে গত ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
ভারতের আসামে গত বছর একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে উলফা (আই) নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটি শনিবার গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (ইনডিপেনডেন্ট ) চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার ইন চিফ। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুজন হলেন অভিজিৎ গগৈ ও জাহ্নু বড়ুয়া।
গত বছর আসামে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন ব্যাহত করতে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে একাধিক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা তদন্তের ভার নেয় এনআইএ।
এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডি স্থাপন করা হয়েছিল।