‘হাইব্রিড’ ডাকায় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে তিন দফা সংঘর্ষ
Published: 18th, January 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির এক পক্ষ অপর পক্ষকে ‘হাইব্রিড’ ডাকায় তিন দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষে তিনজন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ২০টি দোকান ও বাড়ি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে যান। এসময় দলের কয়েকজন তার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন দলের অন্য পক্ষের কয়েকজন সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ‘হাইব্রিড’ বলে মন্তব্য করে। শরীফুল আলম চলে যাওয়ার পর সেখানে পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আক্তার মিয়া ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুপুরে আবারও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের লিপ্ত হয়। বিকেলে তৃতীয় দফা সংঘর্ষ হয়। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় সাধারণ মানুষের ২০টি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে।
১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জেরেই সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম (৪০), জসিম উদ্দিন (৪০) এবং ভৈরবপুরের রাতুল মিয়া (২৭) আহত হন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেন। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে। টহল পুলিশ রয়েছে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ক শ রগঞ জ স ঘর ষ ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।
এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।
অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।
এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।