Samakal:
2025-11-03@12:31:51 GMT

পোশাক কারখানায় ভাঙচুর

Published: 19th, January 2025 GMT

পোশাক কারখানায় ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় শ্রমিকরা দুটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার মাদার কালার ও আরএস গার্মেন্ট কারখানায় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে প্রায় আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী আরএস গার্মেন্টের শ্রমিক রুকাইয়া আক্তার ও শাহিনা বেগম জানান, শনিবার মাদার কালার গার্মেন্টের এক শ্রমিককে মারধর করেন কারখানার সুপারভাইজার। এর জের ধরে রোববার দুপুর ১২টার দিকে মাদার কালারের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা লোহার পাইপ, লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে নিজেদের গার্মেন্ট ভাঙচুর করে। পরে পাশের আরএস নামে একটি কারখানার শ্রমিকদের নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আরএস গার্মেন্টেও হামলা চালায়। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি এসে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া করে। দুপুরের পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মাদার কালার গার্মেন্টের গেটে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে কারখানাটি খোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহনেওয়াজ। তবে শ্রমিকদের অভিযোগ বিনা কারণে মালিকপক্ষ একজন শ্রমিককে মারধর করেন। 
অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিন ম্যানেজার শাহনেওয়াজ জানান, রিপন নামে এক অপারেটর চার দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে শনিবার লাইন সুপারভাইজার মিজান তাঁকে ধমক দিয়ে কথা বলেন। এতে ক্ষুব্ধ রিপন সুপারভাইজার মিজানকে মারধর করেন। মিজান ও রিপনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অপারেটর রিপন অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে পুনরায় সুপারভাইজার মিজানকে মারধর করেন। রোববার সকালে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই শ্রমিককে ডেকে নিয়ে কথা বলে। এ সময় গুজব রটানো হয়, অপারেটর রিপনকে মালিকপক্ষ মারধর করে আটকে রেখেছে। এতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে মাদার কালার কর্তৃপক্ষ গার্মেন্ট ছুটি দিয়ে দেয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আরএস গার্মেন্টেও। বাধ্য হয়ে সেই কারখানাও ছুটি দেওয়া হয়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য

গাজীপুরে কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার নৌলাপাড়া এলাকার জেসন গেট মাঠে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।

কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে বিএনপিতে বরণ করে নেন দলটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর, গাজীপুর সদর উপজেলার একাংশ ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন।

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী সরকারের হাতেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যেখানে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই নিরাপদে থাকতে পারে।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সব সময়ই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করেছেন। আগামীর নেতা তারেক রহমানও তাঁদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর ঘোষিত ৩১ দফায় আদিবাসীদের দাবিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিএনপিতে যোগ দিয়ে কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের ভূমি ও বাসস্থান নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এসব সমস্যার সমাধানে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ