নয় ছবি প্রকাশ করে ভাবনা বললেন, আমি সেরা
Published: 20th, January 2025 GMT
পুরনো হিসাব-নিকাশ সঙ্গে নিয়ে নতুন পরিকল্পনায় সামনে তাকাতে চায় সবাই। ব্যতিক্রম নয় শোবিজ তারকারা। ২০২৪ সাল অনেকের ক্যারিয়ারে সুবাতাস বয়ে এনেছিলো, কেউ আবার ছিটকে পড়েছিলেন জীবনের জটিলতায়। নতুন বছরে যেন সবাই কাজ করতে চান নতুন উদ্যমে।
সোমবার দুপুরে অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার কথায় উঠে এলো সেই বার্তা। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন সব ধরণের কাজের জন্য তিনি যোগ্য। ছবি: ফেসবুক
শেখ হাসিনা সরকার পরতনের পর কিছুটা আড়ালেই ছিলেন ভাবনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেমন সক্রিয়তার লক্ষ করা যায়নি। ছবি: ফেসবুক
তবে সম্প্রতি তিনি আবারও নিজের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছেন। নিয়মিত পোস্ট করছেন তিনি। ছবি: ফেসবুক
সম্প্রতি আশনা হাবিব ভাবনা কিছু নতুন ছবি তার ভক্ত-অনুরাগীদের সাথে শেয়ার করেছেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছি আমি যোগ্য।’ ছবি: ফেসবুক
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, আমি সেরা। আমি যোগ্য ছিলাম, সেরাটা পাওয়ার জন্য আমি উপযুক্ত। এটি আমার ব্যক্তিগত নীতি যা আমি প্রতিদিন সকালে অভিনয়ের আগে নিজেকে বলি।’ পরে অবশ্য সেই ক্যাপশন সরিয়ে ফেলেন তিনি। ছবি: ফেসবুক
‘নট আউট’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু আশনা হাবিব ভাবনা। এটাই ছিল তার প্রথম টিভি নাটক। ছবি: ফেসবুক
এরপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের একাধিক নাটক উপহার দিয়েছেন। ছবি: ফেসবুক
‘ভয়ংকর সুন্দর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন ভাবনা। ছবি: ফেসবুক
এরপর ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, ‘যাপিত জীবন’ (নির্মাণাধীন), ‘দামপাড়া’ (মুক্তির অপেক্ষায়), ‘পায়েল’ (নির্মাণাধীন) ছবিতে অভিনয় করেন। ছবি: ফেসবুক
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে
মাদারীপুরে মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের টানে চীনের নাগরিক শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসেছেন। বিয়ে করে বর্তমানে মাদারীপুরে শশুরবাড়িতে আছেন। ভিনদেশি যুবককে দেখার জন্য ওই বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯)। সুমাইয়া মাদারীপুর শহরের সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তারা তিন বোন। সুমাইয়া বড়। মেঝ সাদিয়া আক্তার (১২) মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট বোন আরিফা (৬)।
চীনের সাংহাই শহরের সি জিং নিং এর ছেলে শি তিয়ান জিং (২৬)। তারা দুই ভাই। বড় শি তিয়ান জিং। তার চীনের সাংহাই শহরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে।
আরো পড়ুন:
‘একজন ছেলে মানুষ আমাদের পরিবারের বৌ হয়েছিল’
এক বিয়ের বরযাত্রী খেয়ে ফেলল অন্য বিয়ের খাবার
শি তিয়ান জিংকে টিকটকে দেখেন সুমাইয়া। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা আদান-প্রদান হয়। উভয়ই গুগলের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান- প্রদান করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মাত্র চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪ জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন শি তিয়ান জিং। এরপর এক দিন ঢাকার একটি হোটেলে থাকেন। ২৬ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেচরের সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন।
সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম ও তার দুইজন আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে শি তিয়ান জিংকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদান-প্রদান করেন শি তিয়ান জিং। এরপর ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে মানুষ ভিড় করতে থাকে।
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘‘টিকটক দেখে আমি ওর ভক্ত হই। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা হয়। পরে দুজনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। মাত্র চার মাসের প্রেমের সূত্র ধরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমার কাছে চলে আসবে, তা কখনো ভাবিনি। ও প্লেনে উঠার সময় বলেছে, আমি বাংলাদেশে আসছি। আমি বিশ্বাস করিনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি।’’
সুমাইয়া আক্তার আরো বলেন, ‘‘ও ওর মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। তারাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন, আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন।’’
সুমাইয়া বলেন, ‘‘এরই মধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। শি তিয়ান জিং এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এর মধ্যে আমার কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে। আমিও চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
শি তিয়ান জিং বলেন, ‘‘বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে। তাই আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাবো। আমার পরিবার সব জানে। তারাই সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যেতে বলেছেন।’’
সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘শি তিয়ান জিং আমাদের এখানে আছে। ও খুব ভালো ছেলে। খুবই অমায়িক। কোনো অহংকার নেই। এক মাস থাকবে এবং আমার মেয়েকে নিয়ে যাবে। আমরা খুব খুশি।’’
পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল হাওলাদার জানান, প্রথমে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। পরে সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। চীনে ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছু দিনের মধ্যে সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যাবে।
ঢাকা/বকুল