দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগমুহূর্তে দেওয়া ভাষণে পুতিন এ অভিনন্দন জানান। 

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহের কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্পের অবস্থান শুধু একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে হওয়া উচিত নয় বরং এই অঞ্চলে বসবাসকারী সব মানুষ ও জাতির বৈধ স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধার ওপর প্রতিষ্ঠিত দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রয়োজন। 

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ট্রাম্পের এমন অবস্থানকে স্বাগত জানাই। সদ্য অভিষিক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ ভাষণটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। 

 

 

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ