নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য সংগ্রহকারী আমিনুল হাসান (৩৮) নামে একজন শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ভুল সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাসুম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি তাকে মারধর করেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের  গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড এলাকায় সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী আমিনুল হাসান।

অভিযোগকারী আমিনুল হাসান সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া এলাকার মো.

লোকমানের ছেলে।  তিনি সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

অভিযুক্ত মো. মাসুম গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ নিয়ে আমিনুল হাসানের সঙ্গে মো. মাসুম বিরোধে জড়ায়।  মাসুম মঙ্গলবার দুপুরে সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রথমে আমিনুল হাসানকে গালিগালাজ পরে এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করেন।

এসময় বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ ও তাকে রক্ষা করেন। তখন অভিযুক্ত মাসুম সুযোগ মতে পেলে তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যান।

মারধরের কারণ জানতে অভিযুক্ত মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, বিগত ২০২০ সালে এনআইডি কার্ডের তথ্য ভূল নিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে মাসুমের বিরোধ ছিল। তার জের ধরে মাসুম স্কুলের ভিতরে গিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায় হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনায় শিক্ষক আমিনুল হাসান থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন

আপনার হাতে ২-৩ লাখ টাকা জমেছে। এ টাকা কী করবেন, কোথায় জমা রাখবেন, এ নিয়ে চিন্তিত হন। এত টাকা হাতে এলে প্রথমেই সঞ্চয়পত্র কেনার কথা ভাবেন অনেকে। আবার অনেকে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) করার কথাও চিন্তা করেন।

তবে সঞ্চয়পত্র কেনা নাকি এফডিআর করা—কোনটি ভালো হবে, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অনেক। সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর নিয়ে একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হলো। বিশ্লেষকেরা বলেন, বিনিয়োগের একটি অংশ সঞ্চয়পত্রে ও অপর অংশ এফডিআরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ঝুঁকি কম থাকে।

সঞ্চয়পত্র

মধ্যবিত্তের জন্য সঞ্চয়পত্র বেশি জনপ্রিয়। কারণ, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ঝামেলা নেই। এত ব্যাংক কেলেঙ্কারির মধ্যেও সঞ্চয়পত্র একটি আস্থার আর্থিক পণ্য হিসেবে সমাজে স্বীকৃত।

সুবিধা কী কী

১. সঞ্চয়পত্রে সরকারি গ্যারান্টি থাকে। তাই টাকা হারানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে।

২. এফডিআর থেকে তুলনামূলকভাবে সুদের হার বেশি। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে গড়ে সুদের হার ১২ শতাংশের আশপাশেই আছে।

৩. দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে।

৪. সাধারণত কর মওকুফ বা কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া। যা আপনার বছর শেষে করের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।

৫. বিপদে পড়লে সঞ্চয়পত্র ভেঙে কাজে লাগানো যায়। অনেকে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেও সঞ্চয়পত্র কেনেন।

অসুবিধা কী কী

১. নির্দিষ্ট সীমার বেশি কেনা যায় না। যেমন—পরিবার সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। আবার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কিনতে পারবেন।

২. মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে ভাঙালে মুনাফার পরিমাণ কমে যায়।

৩. মুনাফার টাকার উৎসে কর কেটে নেওয়া হয়।

৪. তাৎক্ষণিকভাবে নগদায়ন করার সুবিধা সীমিত।

এফডিআর

এটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখতে হয়। আপনার টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রেখে মুনাফা নেওয়া যায়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এফডিআর করা যায়।

সুবিধি কী কী

১. ব্যাংকভেদে এফডিআরের মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। সাধারণত ৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এফডিআর করা হয়।

২. এফডিআরের বিপরীতে ইচ্ছা করলে ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে যত টাকার এফডিআর করা হয়, সাধারণত এর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়।

৩. কিছু ব্যাংক মাসিক বা তিন মাস ভিত্তিতে সুদ প্রদান করে। যা নিয়মিত আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

৪. টাকা প্রয়োজন হলে তুলনামূলকভাবে সহজে এফডিআর ভাঙানো যায়।

অসুবিধা কী কী

১. সাধারণত সুদের হার সঞ্চয়পত্রের চেয়ে কম। সুদের হার ৬ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে থাকে। কিছু ব্যাংক এর বেশি হারের সুদ দেয়।

২. ব্যাংকের স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে এফডিআরের ভবিষ্যৎ।

৩. সময়ের আগে ভাঙালে সুদ কমে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন