চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ রাজশাহীর এসপির
Published: 23rd, January 2025 GMT
মাদক, অস্ত্র ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহীর নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম। রাজশাহী জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম এসময় জেলার বিভিন্ন থানার ওয়ারেন্ট তামিল, দায়েরকৃত মামলার তদন্ত এবং অনুদঘাটিত মামলা, মূলতবি মামলা, অপমৃত্যুর মামলা, সড়ক দুর্ঘটনাসংক্রান্তসহ বিভিন্ন মামলার কার্যক্রম ও অগ্রগতি বিশ্লেষণ করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম বলেন, “সাধারণ জনগণ যেন কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই তাৎক্ষণিক তাদের প্রত্যাশিত সেবা পান, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”
পুরো জেলায় পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখা এবং জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রম নিশ্চিত করার দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও নির্দেশ দেন।
সভায় রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।