আড়াইহাজারে আবারো দুই বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদি গ্রামের রুযেল ও লিয়াকতের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে সালমদি  গ্রামের পাওয়ারলুম ব্যবসায়ী রুয়েলের  বাড়ীতে ১০/১৫ জনের  মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে নগদ এক লক্ষ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়।

অপরদিকে একই গ্রামের  লিয়াকত হোসেনের বাড়িতে হানা  দিয়ে নগদ ২০  হাজার টাকা,  ১ ভরি স্বর্ণালংকার  লুটে নেয়। পরে ডাকাত দল ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে হানা দিলে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়। 

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মিছিলে গিয়ে কারাবন্দী হওয়া ১৮৮ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন

‘স্বৈরাচারমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই’, এমন দৃপ্ত অঙ্গীকারের কথা গত বছরের জুলাইয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর ফারুক। ফেসবুকে একই রকম পোস্ট (মন্তব্য করা) দিয়েছিলেন স্পেনপ্রবাসী আহসান সানী। তাঁদের মতো আরও অনেকে শুধু ফেসবুকে সরব ছিলেন বিষয়টি এমন নয়, দেশে দেশে রাজপথে নেমে এসেছিলেন প্রবাসীরা।

বৈষম্য নিরসনে গত বছরের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একেবারে শুরু থেকেই সংহতি জানিয়ে আসছিলেন প্রবাসীরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানববন্ধন-মিছিল-সমাবেশের মতো নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলি, হত্যা-নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। অনুষ্ঠানে দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এর একটি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আন্দোলনের ওপর নির্মিত, অন্য তথ্যচিত্রে প্রবাসী অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।

ঝুঁকি আছে জেনেও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তখন বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন প্রবাসীরা। সেই মিছিল থেকে আটকের পর অনেককে কারাগারে যেতে হয়। অনুমতি ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেকোনো ধরনের মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যাঁরা মিছিল করে আমিরাতে কারাবন্দী হন, তাঁদের মুক্ত করতে উদ্যোগী হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এখন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮৮ জন বাংলাদেশি কর্মী কারামুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের অবদান স্মরণে আজ শনিবার (২ আগস্ট) ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস’ পালন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এ উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ বিকেলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এই অনুষ্ঠানে গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। অনুষ্ঠানে দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এর একটি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আন্দোলনের ওপর নির্মিত, অন্য তথ্যচিত্রে প্রবাসী অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময়ও প্রবাসীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি সংহতি জানানোর কারণে যাঁরা চাকরি হারিয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফিরে এসেছেন, তাঁদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত বছরের ১৯ জুলাই বিক্ষোভ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা। দেশটির আইনে অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সুযোগ নেই। ওই বিক্ষোভের জেরে এক মামলায় ৫৭ জনকে আটক করা হয়। আরেক মামলায় ৫৬ জনকে আটক করেছিল পুলিশ।প্রবাসীদের কারামুক্তি সরকারের অগ্রাধিকার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ফেসবুকে ‘রিভার্সব্রেইনড্রেইনবিডি’ (মেধাবীদের দেশে ফেরত আনা) হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নানা খাতে সফল হওয়া বাংলাদেশিরা দেশে ফেরার কথা জানান। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, রাজপথে, এমনকি কঠোর আইনের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নামেন প্রবাসীরা। লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ার, নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ার, প্যারিসের রিপাবলিক চত্বর, বার্লিন, মিলান, টোকিও কিংবা সিউল মুখরিত হয় প্রবাসীদের স্লোগানে।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত বছরের ১৯ জুলাই বিক্ষোভ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা। দেশটির আইনে অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সুযোগ নেই। ওই বিক্ষোভের জেরে এক মামলায় ৫৭ জনকে আটক করা হয়। আরেক মামলায় ৫৬ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে অবশ্য দেশটির সরকারের ক্ষমায় ধাপে ধাপে মুক্ত হন তাঁরা। আরব আমিরাতপ্রবাসীদের মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুরোধ করেছিলেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসা কয়েকজন প্রবাসী প্রথম আলোকে বলেন, এখনো দেশটিতে ২৩ জনের মতো কারাগারে আছেন, যাঁরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশে আটক প্রবাসীদের মুক্ত করে দেশে ফেরত আনার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল। এখন পর্যন্ত ১৮৮ জন প্রবাসী কর্মী কারামুক্ত হয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। দেশটিতে বিক্ষোভের ঘটনায় প্রথম দফায় আটক ৫৭ জনের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর ও একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। পরে গত বছরের ২৮ আগস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বাংলাদেশিদের সাজা মওকুফের অনুরোধ জানান। এতে সাড়া দেয় আমিরাত সরকার। পরে কারামুক্ত হয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেন প্রবাসীরা।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসা কয়েকজন প্রবাসী প্রথম আলোকে বলেন, এখনো দেশটিতে ২৩ জনের মতো কারাগারে আছেন, যাঁরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।

দেশে দেশে সংহতি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৫ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ (এখন নিষিদ্ধ)। এ ঘটনায় প্রবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই দিনই পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে চারজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান।

গণ–অভ্যুত্থানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলি, হত্যা–নির্যাতনের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে লন্ডনে প্রতিদিন নানা কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ইউকে। এ ছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, স্পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান।

২২ জুলাই লন্ডনের বিখ্যাত ট্রাফালগার স্কয়ারে হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সামাজিক সংগঠন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে বিভিন্ন প্রচার চালানো হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, জাপানের টোকিওসহ মালদ্বীপ, সৌদি আরব, কাতার ও মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশিরা ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে সরব ছিলেন।

ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশের বিভিন্ন শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে এবং শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। পর্তুগালের লিসবনের মাতৃমনিজ পার্ক ও পর্তুগাল বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে, ফ্রান্সের প্যারিসের রিপাবলিক চত্বরে, জার্মানির মিউনিখ, বার্লিন, বন ও ফ্রাঙ্কফুর্টে, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে, ইতালির ভেনিস ও মিলানে, স্পেনের বার্সেলোনা ও মাদ্রিদে, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্কে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, জাপানের টোকিওসহ মালদ্বীপ, সৌদি আরব, কাতার ও মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশিরা ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে সরব ছিলেন।

নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে প্রায় প্রতিদিন সেখানে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে প্রবাসীরা ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদ জানান। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া কানাডার টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যাঙ্কুভার ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন প্রবাসীরা।

প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়ও। সেই মিছিলে কলাতায় পড়তে আসা বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দমন–পীড়নের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা একাধিকবার বিবৃতি দিয়েছেন।

অধিকাংশ কর্মী আবার বিদেশে যেতে চান। যাঁরা দেশে থাকবেন, তাঁরা ব্যবসার জন্য সহায়তা চেয়েছেন। কেউ কেউ আগের ঋণ পরিশোধে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে আসা ছয়জন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা সরকারের সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে তাঁরা এ–ও বলেন, বকেয়া বেতন, ব্যবসা-বাণিজ্য, জমানো সঞ্চয় রেখে দেশে ফিরে এসেছেন। সরকার তাঁদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঠিকই, তবে দেশে ফেরার পর নিজেদের অধিকার আদায়ে তাঁদের আন্দোলন করতে হয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে তাঁরা দুই দফায় অর্থসহায়তা পেয়েছেন।

নোয়াখালীর মো. ইয়াছিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে ছিলেন এক সপ্তাহ। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তাঁর ব্যবসা আছে। ১৩ বছর দেশটিতে ছিলেন। বড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তাঁর। সহজ শর্তে ঋণ পেলে দেশেই কোনো ব্যবসা করতে চান তিনি।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আর্থিক অনুদানসহ যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার বর্ণনা থাকবে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য আরও কী কী করা হবে, সে পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

ইয়াছিনের মতো দেশে ফিরে আসা কর্মীদের সহায়তায় গত বছরই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কাজ শুরু করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। তারা বিভিন্ন জেলার ফিরে আসা কর্মীদের তালিকা তৈরি করে। কর্মীদের কাছ থেকে পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা চাহিদার তথ্যও নেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, অধিকাংশ কর্মী আবার বিদেশে যেতে চান। যাঁরা দেশে থাকবেন, তাঁরা ব্যবসার জন্য সহায়তা চেয়েছেন। কেউ কেউ আগের ঋণ পরিশোধে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে ১৮৬ জন প্রবাসী কর্মীর হাতে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এরপর তাঁদের অর্থসহায়তা দেয় কল্যাণ বোর্ড।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আর্থিক অনুদানসহ যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার বর্ণনা থাকবে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য আরও কী কী করা হবে, সে পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ