পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর ঘোষেরহাট বাজারসংলগ্ন খালে ভেঙে পড়া লোহার সেতুটি পুনর্নির্মাণ না করায় ইন্দুরকানী ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই উপজেলার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 
জানা যায়, ইন্দুরকানী ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র পথে ঘোষেরহাট বাজারসংলগ্ন ভবানীপুর খালে একটি লোহার সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষের চলাচল এবং মালপত্র পরিবহন করে। জরাজীর্ণ হয়ে পড়া সেতুটির একটি অংশ ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর ভেঙে খালে পড়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেতুর ভেঙে পড়া অংশে সাঁকো তৈরি করায় পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। দীর্ঘদিনেও সেতুটি পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের ফসল ও পণ্য আনা-নেওয়া করতে বেকায়দায় পড়েছেন। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যয় বেড়ে গেছে সাধারণ মানুষের। 
ওই সড়কের ভাড়ায় চালিত ইজিবাইক চালক ইলিয়াস হোসেন জানান, ঘোষেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ায় ইজিবাইক নিয়ে সরাসরি ইন্দুরকানী উপজেলা সদরে যাতায়াত করা যায় না। এতে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় আগের চেয়ে তাঁর আয় কমে গেছে। 
ষোষেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভেঙে যাওয়া সেতুটি পুনর্নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই। এতে দুই উপজেলার মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। 
ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থে সেতুটি পুনর্নির্মাণ জরুরি। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সব শ্রেণির মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 
উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন জানান, ঘোষেরহাট সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ। সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সেতুটির নির্মাণকাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন। এটি বড় সড়কের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় বরাদ্দ পেতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ স্থগিত থাকায় আপাতত কোনো কিছু করা যাচ্ছে না।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ই উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ