খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র  শিক্ষার্থী অর্ণব শীল (২৮) সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

অর্ণব শীলের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের  (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহা. আহসান হাবীব।

রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অর্ণব শীলের মরদেহ খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে চোখ তুলে নিয়ে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

রাউজানে দিনে-দুপুরে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাত সোয়া ৯টার দিকে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে অর্ণব শীল চা পান করছিলেন। এ সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে সশস্ত্র লোকজন এসে প্রথমে তাকে গুলি করে। গুলি তার গায়ে লাগার পর রাস্তার ওপর পড়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে রেখে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পার্শ্ববর্তী খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষেয় রাত ১০টায় নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শফিকুল ইসলাম বলেন, “নিহত অর্ণব শীলের মরদেহ খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে অনেক মানুষের ভিড়। শুনেছি তাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার শরীরের কোথায় গুলি ও কোপানো হয়েছে-তা এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আমরা এখনো তাকে দেখতে পারিনি। কারা বা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা-ও প্রাথমিকভাবে বলা সম্ভব নয়। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সবকিছুর খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ