‘ওরা কেন আমার ছেলেকে হত্যা করলো, কার কাছে বিচার দেবো’
Published: 25th, January 2025 GMT
‘আমার বাবা কারও সঙ্গে কোনো দিন দুর্ব্যবহার করেনি। কারও সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়নি তার। আমিও কোনো দিন কারও ক্ষতি করিনি। ওরা কেন আমার ছেলেকে এভাবে হত্যা করলো। কার কাছে বিচার দেবো আমি?’- এসব কথা বলছিলেন গুলিতে নিহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণবের বাবা নীতিশ কুমার সরকার।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে খুলনা নগরীর তেঁতুলতলা মোড় গুলি করে হত্যা করা হয় খুবি ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে (২৬)। তিনি খুবির ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের ছাত্র। অর্ণব সোনাডাঙ্গা থানার আবু আহম্মেদ সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার নীতিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে।
অর্ণবকে হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। অভিযানে সন্দেহভাজন ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। দিনভর তাদেরকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো তথ্য মেলেনি। তবে পুলিশ তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছে না। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অর্ণবের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর মরদেহ হস্তান্তর করা হলে নগরীর বানগরগাতী এলাকার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর আহাজারি শুরু করেন অর্ণবের মা চন্ডী রানী, বাবা নীতিশ কুমার সরকার, চাচা তুষার সরকার ও সুকুমার সরকার, ছোট ভাই অনিক কুমার সরকারসহ আত্মীয় স্বজনরা।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, হত্যার ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসবে বলে জানিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, অর্ণবের মেয়েলি কোনো বিরোধ ও তার বাবার ব্যবসায়িক কোনো বিরোধ আছে কিনা, কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব আছে কিনা সে বিষয়গুলো তারা খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হত্যার কারণ উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে নগরীর তেতুলতলা মোড়ে মোটরসাইকেলের ওপর বসে চা খাচ্ছিলেন অর্ণব। এসময় মোটরসাইকেলে করে আসা ১০ থেকে ১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ম র সরক র নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে