খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা নীতিশ সরকার বাদী হয়ে শনিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে হত্যার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। শুক্রবার রাতে আটক তিনজনকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরও এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে। নতুবা তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

হত্যার কারণ উদঘাটন এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ। 

শুক্রবার রাতে খুলনা নগরীর তেতুলতলা মোড়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে অর্ণবকে হত্যা করে। অর্ণব কুমার সরকার (২৬) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের ছাত্র এবং সোনাডাঙ্গা থানার আবু আহম্মেদ সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার নীতিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে।

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানায়, অর্নব শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তেঁতুলতলা মোড়ে মোটরসাইকেলের ওপর বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় ৪ থেকে ৫ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ১৬ ককটেলসহ বিএনপি কর্মী আটক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পীর গোপালপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ১৬টি ককটেলসহ রাজ্জাক মোল্লা নামের এক বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। 

সোমবার (১৬ জুন) রাত ৩টার দিকে রাজ্জাক মোল্লাকে আটক করা হয়। তিনি গোপালপুর গ্রামের আবসার আলী মোল্লার ছেলে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে পীর গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় রাজ্জাক মোল্লার বাড়ি থেকে ১৬টি ককটেল ও ককটেল তৈরীর উপকরণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে জামাল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভুলু বলেছেন, রাজ্জাক মোল্লা বিএনপির কর্মী। তার কাছ থেকে যে ককটেল পাওয়া গেছে, এর দায়ভার সংগঠন নেবে না।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ