জাকসুর মতবিনিময় সভা বর্জন ছাত্রদলের
Published: 26th, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত পরিবেশ পরিষদের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর মতবিনিময় সভা বর্জন করেছে শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে। কিন্তু জাবি শাখা ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল সিনেট কক্ষে প্রবেশ করে প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দিয়ে মতবিনিময়ে সভা বর্জন করেন।
দাবিগুলো হলো- জাকসুর তফসিল ঘোষণার পূর্বে জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা, প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করা, ফ্যাসিবাদ মুক্ত প্রশাসনে অধীনে জাকসু করা এবং ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জাকসুতে অংশগ্রহণ না করা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, “জাকসু নির্বাচনের সবচেয়ে বড় অংশীজন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পারেনি। বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাত্র প্রতিনিধি চাওয়া হয়েছে, সেটা কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে আমার জানা নেই। ফ্যাসিবাদের দোসর ও ১৫-১৭ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার ব্যতিত জাকসু নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”
এর আগে, বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় ছাত্র সংসদ প্রতিনিধিদের নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাকসুর বাস্তবায়ন চান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি সোহেল রানা বলেন, “জাকসু নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বড় অংশীজন। এখানে কারো হস্তক্ষেপে জাকসু বিলম্বিত হোক, তা চাই না। জাকসু আমাদের প্রাণের দাবি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।”
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন। এ লক্ষ্যে গত ৩১ ডিমেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে ১১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা, ২১ জানুয়ারি পরিবেশ পরিষদ ও ২৪ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। এছাড়া রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল মতব ন
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস