ট্রেনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন নাট্যনির্মাতা ইফতেখারুল আরেফিন। গতকাল ভোরে চলমান ট্রেনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আরেফিন রূপম নামে পরিচিত এই নাট্যকারের বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

জানা যায়, শ্বশুরবাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইফতেখারুল। পরে ট্রেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকালই এই নির্মাতাকে গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটে দাফন করা হয়েছে।

টেলিভিশন নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বলেন, “গতকাল আমাদের ইফতেখারুল ভাই মারা গেছেন। তিনি ট্রেনে পরিবার নিয়ে জরুরি কাজে ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাৎক্ষণিক জানতে পেরেছি তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।”

আরো পড়ুন:

রাজের নায়িকা ফারিণ!

পড়শীর নায়ক তৌসিফ

ইফতেখারুল আরেফিনের সহকারী পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন ইমরান হাওলাদার। তিনি বলেন, “ভাই (ইফতেখারুল) বেশ কিছুদিন ধরেই হার্ট ও উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রেশার প্রায়ই হাই হয়ে যেত। চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন। এর মধ্যে গতকাল ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেলাম। ভাই অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি সব সময় আমাদের সহযোগিতা করতেন।”

২০০০ সাল থেকে নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন ইফতেখারুল। পরিচালক হিসেবে মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরীসহ বহু তারকা অভিনয়শিল্পী তার নাটকে অভিনয় করেছেন। ‘আজকের দেবদাস’, ‘রঙ্গিলা বাও’সহ একাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত খ র ল গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ