বর্ণাঢ্য আয়োজনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগের স্প্রিং ব্যাচের (২৫১) নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জেএমসি মিডিয়া ল্যাবে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) (অব.

) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

আরো পড়ুন:

নিটার ১৪তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন, নবীন শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতার আহ্বান

সাংবাদিক জোবদুল হক মারা গেছেন

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. অলিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন নিউজ টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র সাংবাদিক ইউনুস রাজু।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের বিভাগের শিক্ষক ড. হাবিব মাহমুদ আলী, ইব্রাহিম আজাদ এবং মঞ্জুর কিবরিয়া ভূঁইয়া।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “গ্রিন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে যেতে চায়, যেখানে তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও যুগোপযোগী দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা রক্ষা করতে হবে।”

প্রধান অতিথি ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, “সাংবাদিকতা বিভাগ হলো সমাজের বিবেক, যেখানে গণমাধ্যম পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা গড়ে ওঠে। গ্রিন ইউনিভার্সিটি সাংবাদিকতা বিভাগকে সর্বদা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।”

নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন জেএমসি বিভাগের ২৪২-ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে বিভাগের লেকচারার ও জেএমসি মিডিয়া ক্লাবের মডারেটর মঞ্জুর কিবরিয়া ভূঁইয়া নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিভাগ পরিচিতি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কেক কাটা ও গ্রুপ ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে নবীনবরণ সম্পন্ন হয়।

এদিকে, এদিন সকাল থেকেই নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র ন ইউন ভ র স ট র ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনা-ঢাকা রুটে আবারও বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

রাবেয়া বেগম আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা থেকে পাবনার বেড়াগামী আলহামরা পরিবহনের বাসে উঠেছিলেন। গন্তব্যের ২০ কিলোমিটার আগে পৌঁছার পর জানতে পারেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর হয়ে পাবনার বাস যেতে পারবে না। শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ডের অনেক আগে তালগাছি এলাকায় সব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁকে বেড়ায় পৌঁছাতে হয়।

পাবনা ও শাহজাদপুরের অনেক যাত্রীকে আজ রোববার দিনভর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই দুর্ভোগের কারণ, পাবনা ও শাহজাদপুর বাসমালিকদের পুরোনো দ্বন্দ্ব। আজ সকাল থেকে দুই এলাকার বাস চলাচল আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। পাবনা থেকে শাহজাদপুর হয়ে ঢাকা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে কোনো বাস চলাচল করছে না। একইভাবে শাহজাদপুর থেকেও পাবনার দিকে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না।

বাসমালিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে চলতি বছরেই অন্তত চারবার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। আর গত সাত-আট বছরে বাস চলাচল বন্ধ ছিল অন্তত ৩০ বার। একবার বাস চলাচল বন্ধ হলে তা চালু হতে সময় লেগেছে পাঁচ দিন থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত।

বাসমালিক ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতি ও পাবনার নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রুট ও সময়সূচি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। পাঁচ-ছয় দিন আগে নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতির লোকজন শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতির মালিকানাধীন নবীনবরণ পরিবহন নামের একটি বাস আটকায়। এর প্রতিবাদে শাহজাদপুরের বাসমালিকেরা নগরবাড়ী সমিতির মালিকানাধীন বাসগুলো চলাচলে বাধা দেন। ঘটনার জেরে গতকাল শনিবার পাবনার দাশুড়িয়ায় নবীনবরণ পরিবহনের একটি বাস আটকে রাখে পাবনা বাসমালিক সমিতি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আজ সকালে শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতি শাহজাদপুরের ওপর দিয়ে পাবনার সব বাসের চলাচল বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে পাবনার সড়ক দিয়েও শাহজাদপুরের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাবনা ও শাহজাদপুর উভয় সমিতির দুই শতাধিক বাস আজ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবহনশ্রমিকেরাও।

এদিকে পাবনা থেকে বেড়া হয়ে ঢাকাগামী বেশির ভাগ পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। দু–একটি বাসের কাউন্টার খোলা থাকলেও সেসব বাস বেড়া থেকে যাত্রী নিয়ে কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে অথবা নাটোরের বনপাড়া হয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে ঢাকা যাচ্ছে।

পাবনা এক্সপ্রেস পরিবহনের বেড়া কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘শাহজাদপুর হয়ে পাবনার কোনো বাস যেতে না পারায় আমাদের বাসগুলো হয় ফেরি হয়ে, না হয় নাটোরের বনপাড়া ঘুরে ঢাকা যাচ্ছে।’

শাহজাদপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাবনা ও নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতি আমাদের বাস চলাচলে বাধা দেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীদের যেমন দুর্ভোগ হচ্ছে, তেমনি উভয় মালিক সমিতিরই ক্ষতি হচ্ছে। দুই পক্ষ আলোচনায় বসলে আশা করি সমাধানের পথ পাওয়া যাবে।’

পাবনা বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিন মোল্লা বলেন, ‘শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতির লোকজন প্রায় এক মাস ধরে নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতির বাসগুলো শাহজাদপুরের ওপর দিয়ে যেতে দিচ্ছিল না। আজ থেকে তারা পাবনার সব বাসের চলাচল বন্ধ করে দিল। শাহজাদপুর মালিক সমিতি ছোটখাট যেকোনো ব্যাপার হলেই তাদের এলাকার ওপর দিয়ে পাবনার বাস চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনা-ঢাকা রুটে আবারও বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা