মাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মো. আজিজ হাওলাদার (৬০) নামে এক চা বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের ১০৭নং ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আজিজ হাওলাদার উপজেলার ধামুসা গ্রামের মৃত আবদুল রহিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, মো.

আজিজ হাওলাদার ডাসার কাঁঠালতলা বাজারে চায়ের দোকান করেন। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার বিকেলে চায়ের দোকান খুলে রাত ১০টা পর্যন্ত চা বিক্রি করেন। দোকান বন্ধ করে আর বাড়ি ফেরেনি। শনিবার সকালে নিহতের স্ত্রী শাহিদা বেগম তার খোঁজে বাড়ি থেকে বের হলে গ্রামের রাস্তার পাশে স্বামীর হাত-পা বাঁধা লাশ দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। 

স্বজনের দাবি, তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। 

নিহতের বড় ভাই মো. আব্দুল গণি হাওলাদার বলেন, “আমার ভাইকে হাত-পা বেঁধে যারা নির্মমভাবে মারছে। আমি প্রশাসনের কাছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।”

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, “ডাসার কাঁঠালতলা বাজারে দোকান করে মো. আজিজ হাওলাদার বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার লাশের সুরতহাল শেষে মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ