Risingbd:
2025-08-01@21:57:16 GMT

আলো ছড়িয়ে উজ্জ্বল তারা

Published: 2nd, February 2025 GMT

আলো ছড়িয়ে উজ্জ্বল তারা

ইনিংসটা এভাবে শেষ হবে তা হয়তো ভাবতেই পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। ‘নামকাওয়াস্তে’ স্পিনার বোসিস্তোর বাইরের বল কাট করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড়। ক্যাচ দেন শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে।

৫৮ রানে তানজিদ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পথে নিজের ব্যাট ছুঁড়ে মারেন। সাজঘরের এই পথ ধরার মধ্য দিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের ওপেনার বিপিএলের যাত্রাও শেষ হলো। ৪৮৫ রান নিয়ে এবারের মিশন শেষ করলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার। ১২ ইনিংসে ৪৪.

০৯ গড়ে টপ স্কোরার হিসেবে থামলেন তানজিদ। ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪ ফিফটি। স্ট্রাইক রেট চোখ ধাঁধানো, ১৪১.৩৯। বাউন্ডারির ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন ২২ গজে। ২৪ চার ও ৩৬ ছক্কায় রাঙিয়েছেন মাঠ।

আরো পড়ুন:

বিপিএলে নানা অনিয়ম, আসিফ মাহমুদের কড়া হুঁশিয়ারি 

সেরা দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংস

 

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এখন তানজিদের। ছক্কার রেকর্ডে তানজিদের সামনে আছেন কেবল ক্রিস গেইল। ২০১৭ আসরে ১১ ম্যাচে ৪৭টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্যারিবীয়ান তারকা। রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে সেবার বিপিএলের সবগুলো ম্যাচ খেলেছিলেন গেইল। নিজের শেষ ইনিংসেও তানজিদ ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারলে আরো দুই/তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ হতো তার। সেটা হলে গেইলের রেকর্ডও হয়তো ছাড়িয়ে যেতে পারতেন তানজিদ।

তার এই একক নৈপূণ্য দলের কোনো কাজেই আসেনি। ঢাকা ১২ ম্যাচে মাত্র তিনটি জিতেছে। আলো ছড়িয়ে তানজিদ কেবল উজ্জ্বল হয়েছেন। তার ব্যাটের আলোয় জ্বলতে পারেনি ঢাকা।

একই অবস্থান তাসকিন আহমেদের। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে এবারের বিপিএল খেলেছেন তাসকিন। ডানহাতি পেসার ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট পেয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। তার বোলিং গড় ১২.০৪, ইকোনমি ৬.৪৯। ১৯ রানে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েছেন দ্রুতগতির বোলার।

লিগের শুরুতে সাত ম্যাচে সহ অধিনায়ক ছিলেন তাসকিন। পরবর্তীতে ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিনায়ক হিসেবে তাসকিনকে বেছে নেয়। নিজের শেষ পাঁচ ম্যাচে চারটিতে দলকে জিতিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে রেখেছিলেন তাসকিন। কিন্তু রান রেটের ম্যাড়প্যাচে খুলনা তাদের টপকে যায়। তাতে তাসকিনের বিপিএল যাত্রা থেমে যায় রাউন্ড রবিন লিগেই। ২০১৯ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। তাসকিন এবার সেই রেকর্ড ভেঙে গেছেন চূড়ায়।

ব্যাট-বলে তানজিদ ও তাসকিন এখন পর্যন্ত বিপিএলে সেরা। শেষ চার ম্যাচে তারা কেউই নেই। তবে নিশ্চিতভাবে আলোচনায় থাকবেন। কেননা আলো ছড়িয়ে উজ্জ্বল তারা।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ব প এল র কর ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ