Risingbd:
2025-08-01@04:51:47 GMT

ছয় বছর পর অক্ষয়ের সেঞ্চুরি

Published: 2nd, February 2025 GMT

ছয় বছর পর অক্ষয়ের সেঞ্চুরি

গত কয়েক বছর ধরে বক্স অফিসে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়েই একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। তার অভিনীত ‘স্কাই ফোর্স’ সিনেমা গত ২৪ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে। সন্দীপ কেলওয়ানি নির্মিত সিনেমাটি বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছে। দীর্ঘ ছয় বছর পর সেঞ্চুরি করেছে অক্ষয়ের কোনো সিনেমা।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘স্কাই ফোর্স’ টিম একটি পোস্টার প্রকাশ করে জানিয়েছে, সিনেমাটি মুক্তির দ্বিতীয় শুক্রবার পর্যন্ত শুধু ভারতে টিকিট বিক্রি থেকে মোট আয় হয়েছে ১০৪.

৩ কোটি রুপি (নিট)।

ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৬ বছর পর অক্ষয়ের কোনো সিনেমা শতকোটি রুপি আয় করেছে। তার অভিনীত ‘গুড নিউজ’ সিনেমা ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। কারিনা কাপুর খান, কিয়ারা আদভানি অভিনীত সিনেমাটির আয় শতকোটির ক্লাব পেরিয়ে যায়। এরপর আর কোনো সিনেমা শতকোটি রুপি আয় করতে পারেনি। যে কটি সিনেমা শতকোটির বেশি আয় করেছে, সেসব সিনেমায় অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

আরো পড়ুন:

বিদ্যার সঙ্গে চর্চিত চুম্বন দৃশ্য নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন প্রতীক

অভিনেত্রী থেকে সন্ন্যাসিনী, মমতাকে ঘিরে আখড়ায় জটিলতা

২০১৯ সাল থেকে অক্ষয় কুমারের সিনেমার তালিকা এবং তাদের নিট বক্স অফিস আয় (সূত্র: স্যাকনিল্ক)
১. গুড নিউজ (২০১৯): ২০৫.০৯ কোটি রুপি
২. বেল বটম (২০২১): ৩৩.৩১ কোটি রুপি
৩. বচ্চন পাণ্ডে (২০২১): ৫১.০৪ কোটি রুপি
৪. সম্রাট পৃথ্বীরাজ (২০২১ ): ৬৮.২৫ কোটি রুপি
৫. রক্ষা বন্ধন (২০২২): ৪৮.৬৩ কোটি রুপি
৬. রাম সেতু (২০২২): ৭৪.৭ কোটি রুপি
৭. সেলফি (২০২৩): ১৭.০৩ কোটি রুপি
৮. মিশন রানিগঞ্জ (২০২৩): ৩৪.১৭ কোটি রুপি
৯. বড় মিয়া ছোট মিয়া (২০২৪): ৬৫.৯৬ কোটি রুপি
১০. সারফিরা (২০২৪): ২৪.৮৫ কোটি রুপি
১১. খেল খেল ম্যায় (২০২৪): ৩৯.২৯ কোটি রুপি

অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘স্কাই ফোর্স’ চলতি বছরের বলিউডের অন্যতম প্রতীক্ষিত সিনেমা। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান বিমান যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে এটি। যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন অমর কৌশিক ও দীনেশ বিজন। ১৪০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমায় অক্ষয় ছাড়াও অভিনয় করেছেন নিমরাত কৌর, সারা আলী খান।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র শতক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি সিদ্ধান্তের পরও বন্ড সুবিধা পাচ্ছে না আসবাবশিল্প

সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হিসেবে আসবাবশিল্প নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করার জন্য আসবাবশিল্পকে বন্ড লাইসেন্স দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে বন্ডের বিষয়টি ফাইলবন্দী হয়ে পড়ে আছে।

এদিকে কাঁচামাল আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ ও ব্যবসায়ের খরচসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পেরে উঠছে না দেশের আসবাব খাত। ফলে আসবাব রপ্তানি ঘুরেফিরে একটি জায়গাতেই যেন আটকে আছে। এ রকম পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা বাড়তি ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খাতটির উদ্যোক্তারা। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি আসবাবের বড় বাজার।

আসবাব খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসবাবপত্র রপ্তানি হুমকিতে পড়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাজারে আসবাবের রপ্তানি বাড়াতে হলে ১০০ শতাংশ ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে হলেও কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের আসবাবপত্র রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি তার আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। গত অর্থবছরে আসবাব রপ্তানির ৪৩ শতাংশ বা ১ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তিন বছর আগে প্রকাশিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৈরি পোশাকশিল্পের পর আসবাব খাতে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ জনবল সম্পৃক্ত। দেশের জিডিপিতে এই খাতের অবদান প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ। এই খাতে দেশে ৪০ হাজারের বেশি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান আসবাব উৎপাদন ও বিপণনে জড়িত।

জানা গেছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের মতো ব্যাংক গ্যারান্টির সমপরিমাণ অর্থের বিপরীতে আংশিক রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে আসবাবসহ চারটি খাতকে বন্ড সুবিধা দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে। তারপর ২০২৩ সালের মার্চে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রপ্তানিসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় তৈরি পোশাকশিল্পের মতো অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পে বন্ড ওয়্যারহাউস সুবিধা প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এই বিষয়টি আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪, রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ এবং ট্যারিফ পলিসি ২০২৩-এ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

একাধিক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে জানান, আসবাবশিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জন্য এখনো আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে আসবাব উৎপাদনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালের ওপর শুল্ক অনেক বেশি। বিভিন্ন ধাপে এখন শুল্ক ১০ থেকে ১২৭ শতাংশ দিতে হয়। এতে উচ্চ মানসম্পন্ন আসবাব তৈরিতে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

জানতে চাইলে দেশের শীর্ষস্থানীয় আসবাব ব্র্যান্ড হাতিলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম এইচ রহমান বলেন, ‘দেশে কিছু কাঁচামাল পাওয়া গেলেও তা পরিমাণ ও মানে রপ্তানির উপযোগী নয়। তাই কাঠ, বোর্ড ও বিভিন্ন ফিটিংস আমদানি করতে হয়। এতে খরচ ও উৎপাদন সময় বেড়ে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন করে শুল্ক বাড়লে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়বে। এটি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।’

সেলিম এইচ রহমান আরও বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্ব না দিলে সামনে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে। সঠিক কৌশল, সহায়তা ও কার্যকর নীতিমালার মাধ্যমে আসবাব খাত আগামী দিনে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হতে পারে। তাই আংশিক রপ্তানিমুখী শিল্পসমূহকে রপ্তানি নীতি, আমদানি নীতি আদেশ এবং জাতীয় শুল্ক নীতির আলোকে বন্ড সুবিধা প্রদানের বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এভাবেও ফিরে আসা যায়
  • ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে মিয়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন
  • গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • লিভারপুল ছেড়ে ১ হাজার কোটি টাকায় বায়ার্ন মিউনিখে লুইস দিয়াজ
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি’, শিক্ষার্থীরা পাবেন ২ ক্যাটাগরিতে
  • সরকারি সিদ্ধান্তের পরও বন্ড সুবিধা পাচ্ছে না আসবাবশিল্প
  • আইপিএলে কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন কারস্টেন
  • সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি: ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি উত্তীর্ণদের সুযোগ