যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রথম বিদেশ সফরে পানামায় পৌঁছেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর রুবিও সেখানে এ সফর শুরু করলেন।  

স্থানীয় সময় শনিবার রুবিও পানামায় পৌঁছান। সেখান থেকে রুবিও অভিবাসী ইস্যুতে লাতিন আমেরিকার আরও চারটি ছোট দেশ সফর করবেন। খবর এএফপির 

রুবিও এমন সময়ে এ সফর শুরু করলেন যখন কানাডা, মেক্সিকো ও চীনে ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন। সাধারণত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রথমে বড় ও মিত্রদেশগুলোতে সফর করেন। তবে রুবিও ছোট দেশ দিয়ে তার সফর শুরু করলেন।

ট্রাম্প পানামা খাল দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ১৯৯৯ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল হস্তান্তর করে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, চীন আশপাশের বন্দরগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

অভিষেকের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল আবার দখলে নেবে। শুক্রবার ট্রাম্প এ নিয়ে আবার কথা বলেন। তিনি বলেন, তারা এর মধ্যে অনেক কিছু করার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, পানামা খাল ফিরিয়ে নেওয়াই সঠিক।

সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, পানামার দায়িত্বে যে ভদ্রলোক রয়েছেন, তার সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন মার্কো রুবিও।

মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, রুবিও পানামা খাল সফরে যাবেন। তিনি পানামার প্রেসিডেন্ট জোস রাউল মুলিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মুলিনো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। পানামা খাল দখলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ করার পর তিনি আলোচনার কথা অস্বীকার করেছেন।

বৃহস্পতিবার মুলিনো বলেন, ‘পানামা খাল নিয়ে আলোচনার পথে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এই খাল পানামার।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ