আ’লীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
Published: 2nd, February 2025 GMT
আওয়ামীলীগ ঘোষিত ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের নিতাইগঞ্জ নগরভবনের সামনে থেকে শুরু করে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নিতাইগঞ্জ মোড় হয়ে পাইকপাড়া, জল্লারপাড়া দিয়ে দেওভোগ পাক্কারোড় হয়ে দুই নং রেলগেট দিয়ে বিবি রোড় হয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি প্রতিবাদে নানা ধরনের শ্লোগান দেয় মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মিছিলপূর্ব বক্তারা বলেন, দেশবিরোধী খুনি শেখ হাসিনার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। জাতীয়তাবাদী দল নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে সজাগ ও সতর্ক রয়েছে । খুনি শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা কোথাও কেউ করলে সাধারণ মানুষ প্রতিহত করবে।
আর তাদের সঙ্গে বিএনপির সর্বস্তরের নেতা–কর্মীরাও থাকবেন। অর্জিত বিজয় যাতে কোনো ষড়যন্ত্রকারী নসাৎ করতে না পারেন, সে জন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।আর আওয়ামী লীগের যেকোন কর্মসূচি বা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকার ঘোষণা দেয় তারা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ র ন ত কর ম র ষড়যন ত র দল র স
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।